নিউজ ডেস্ক , ২২ নভেম্বর : কবি শঙ্খ ঘোষ এক সময় লিখেছিলেন, “একলা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি … তোমার জন্যে গলির কোণে ভাবি আমার মুখ দেখাব মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে।” আজ সেই লেখার সাথে যেন সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে রায়গঞ্জ শহরের চিত্র। শহর জুড়ে শুধুই বিজ্ঞাপনের বহর।
আন্তঃ ক্লাব ক্রিকেট লীগ বড় ব্যবধানে জয় পেল প্রতিবাদ
এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত যেদিকেই তাকাই শুধুই লাল, হলুদ, নীল, সবুজ রঙের পোষ্টার ব্যানারের ছড়াছড়ি। এতে একশ্রেণির মানুষের মুনাফা লাভ হলেও সার্বিক পরিসরে কোথাও যে একটা ক্ষতি হচ্ছে তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। তাই এককথায় বলাই যায় রায়গঞ্জ শহরে এখন দৃশ্য দূষন চরম আকার ধারন করেছে। এমনি সময় যেমন তেমন পুজোর মরশুমে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের পোস্টার ব্যানারে শহর ছেয়ে গিয়েছে। শহরের কোনো নির্দিষ্ট একটি অংশে নয়। সর্বত্রই একই ছবি। সেই দুর্গাপুজোর আগে থেকে এমন চিত্র আকছাড় নজরে পরছে। পুজো শেষ হয়ে গেলেও পোস্টার ব্যানার গুলো খোলার বালাই নেই। এর ফলে চরম হারে বাড়ছে দৃশ্য দূষনের চিত্র। এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সমাজের অনেকেই।
গ্রাম্য বিবাদের জেরে সংঘর্ষ, আহত ২
শহর বাসী অরিজিৎ ঘোষ জানান, সব অনুষ্ঠান প্রায় শেষ। এখন এসব পোস্টার ব্যানার খুলে ফেলা উচিত। আর তা না হলে দৃশ্য দূসন বাড়বে বই কমবে না। এমনিতেই শহরের একটিমাত্র রাস্তা। তা দিয়ে ভিড়ের মধ্যে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু এমন ভাবে ব্যানার পোষ্টার গুলো ঝুলে থাকায় শহরের সৌন্দর্য বিঘ্নিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে সকলের সচেতন হওয়া উচিত। যারা এসব লাগিয়েছেন তাদের খুলে নেওয়া উচিত। রাজীব মুখার্জি নামের অপর এক শহরবাসী জানান, এভাবে ব্যানার পোষ্টারের বাড়বাড়তে দূষন বাড়ছে। ঢেকে যাচ্ছে রায়গঞ্জের প্রকৃত চিত্র। তাই সার্বিক স্বার্থে সব পোষ্টার ব্যানার সরিয়ে ফেলা উচিত।
বছর ঘুরতেই বেহাল নবনির্মিত রাস্তা, রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ জনমানসে
এক্ষেত্রে প্রশাসন, বনিক সভা ও রাজনৈতিক নেতাদের ময়দানে নামা উচিত বলে মনে করেন রাজীব বাবু। এবিষয়ে রায়গঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস দৃষ্য দূষনের ব্যাপারে একমত। তিনি জানান, পৌরসভার অনুমতি ছাড়াই এইসব ব্যানার পোষ্টার টাঙানো হয়েছে। অবিলম্বে এগুলি না খুললে পৌরসভা রাস্তায় নামবে।