
আর সি টিভি সংবাদ , ০৯ মার্চ :৩৪ নং জাতীয় সড়কে যানজট রুখতে তৈরী হয়েছে ফোরলেন বাইপাস। রায়গঞ্জ ব্লকের রুপাহার থেকে এই বাইপাস শুরু হয়েছে। এখনও তা পূর্নাঙ্গ রুপে চালু হয়নি। এদিকে বাইপাস চালু হলে দুরপাল্লার চালক ও যাত্রীরা উপকৃত হবেন নিঃসন্দেহে। তবে এই বাইপাস চালুর কথা ভেবে আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছে রায়গঞ্জ শহরের গ্যারেজ গুলি। বর্তমানে দক্ষিনবঙ্গ থেকে থেকে উত্তরবঙ্গগামী বিভিন্ন যানবাহনগুলিকে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে রায়গঞ্জের উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।
আরও পড়ুন-বসন্ত উৎসব ঘিরে মাতোয়ারা আট থেকে আশি
সেই অনুযায়ী রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোর বরাবর ৩৪ নং জাতীয় সড়কের ধাকে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য গ্যারেজ। এই গ্যারেজগুলির মালিক ও কর্মীদের রুজিরুটি নির্ভর করে দুরপাল্লার গাড়ি গুলির উপরেই। মালদা পার করে আসার পর রায়গঞ্জ শহরের গ্যারাজগুলিতে চলে গাড়ি সারাইয়ের কাজ। কিন্তু আগামীতে বাইপাস চালু হলে সমস্ত দুপাল্লার যাত্রীবাহি কিংবা মালবাহী গাড়ি গুলি রুপাহার থেকে ফোরলেন ধরে ঘুরে যাবে। শহরে আর ঐ সমস্ত যানবাহন ঢুকবে না। যার জেরে আর্থিক ভাবে ক্ষতির মুখে পরতে হবে গ্যারেজের মালিক শ্রমিকদের। তখন স্থানীয় যানবাহনের উপরে ভরসা করতে হবে। তাতে যা আয় হবে তা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হবে না বলেই জানিয়েছেন মালিক-শ্রমিক উভয়পক্ষই। তাদের দাবী, বাইপাসে কোনো যানবাহন বিকল হলে তাদের অনেকটা দুর ছুটতে হবে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে। এতে একই সাথে বিপাকে পরতে হবে গ্যারেজ কর্মী ও যানবাহন চালকদেরও।
আরও পড়ুন-প্রতারণা চক্রের শিকার ক্যাফে মালিক
একই বক্তব্য রায়গঞ্জ মোটর পার্টস ও গ্যারেজ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ রায়ের। তিনি বলেন, কর্মীদের যাতায়াতে সবচেয়ে বেশী সমস্যা। তার মধ্যে টোটোতে চেপে জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে লাটে উঠবে গ্যারেজ ব্যবসা। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইন্দ্রজিৎ বাবু।
