নিউজ ডেস্ক, রায়গঞ্জ , ২১শে ডিসেম্বর : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর না পেয়ে তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করল গ্রামবাসীরা। রায়গঞ্জ ব্লকের ১৩ নং কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছত্রপুর দক্ষিন সংসদের ঘটনা। ঘর না পেলে পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উপভোক্তারা। সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা।
১ বা ২ বছর নয়। একটানা ৫ বছরেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের ঘর পাননি একটা গোটা সংসদের উপভোক্তারা। ঘটনাস্থল রায়গঞ্জ ব্লকের ১৩ নং কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছত্রপুর দক্ষিন সংসদে। ৫ বছর আগে আবেদন করেছিলেন কিন্তু পাকা ঘরের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গিয়েছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে যখন রাজ্যের জেলায় জেলায় নানান অভাব অভিযোগ সামনে আসছে। তখন আর চুপ থাকলেন না ছত্রপুর দক্ষিন সংসদের বাসিন্দারাও। আমাদের প্রতিনিধি আজ পৌছেছিলেন এই গ্রামে। কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে । উঠে আসে গ্রামের বাসিন্দাদের করুণ দশার কাহিনি। নজরে আসে তাদের ঘরের ভগ্ন দশা। কথা বলে জানা গেল গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কর্মহীন। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে থাকলেও সরকারি ঘরের টাকা ঢোকেনি তাদের কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষী সরকার বলেন, বাড়ির পরিস্থিতি ভালো নেই। দীর্ঘদিন আগে তিনি ঘরের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। তালিকায় নামও রয়েছে কিন্ত ঘরের টাকা আর পাননি। সামনেই আসছে পঞ্চায়েত ভোট। ঘর না পেলে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। স্থানীয় অপর এক বাসিন্দা জ্যোতিশ বর্মন বলেন, কর্মক্ষমতা হারিয়ে ৩ বছর থেকে বাড়িতে বসা। ঘর বাড়ি ভেঙে পরছে। কিন্তু তবুও সহায়তা পাননি। ঘরের জন্য আবেদন করেও ব্যর্থ হয়েছেন। ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন পঞ্চায়েতের ঐ সংসদের সদস্য সুজিতা বর্মন। তিনি বলেন, ৫ বছর আগে ২৫০ জনের নামের তালিকা পাঠিয়েছিলেন। যার মধ্যে ১১১ জনের নাম বরাদ্দ হয়। কিন্তু সেখানেই ফুলস্টপ। এখনও সার্ভে পর্যন্ত হয়নি। বার বার প্রধান বা প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে দাবী তার। অন্যদিকে সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান প্রশান্ত দাস। বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদকে জানিয়েছেন বলে জানান। কিন্তু সমস্যার সমাধান কি আদও হবে প্রশ্ন এখন একটাই।