নিউজ ডেস্ক , ০৮ নভেম্বর : করোনা সংক্রমণের বিভিন্ন উপসর্গের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হল রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া। ফলে এই সমস্যা নিয়ে সচেতন হয়েছে সাধারণ মানুষ।ঘরে ঘরে চাহিদা বেড়েছে অক্সিমিটার কেনার।মূলত রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার বিষয়টিকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় হাইপক্সিয়া।তবে কোভিড শুধু নয়, অন্যান্য রোগ থেকেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কি থেকে হতে পারে এই সমস্যা।-
একজন সুস্থ মানুষের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা থাকা উচিত ৯০-১০০ শতাংশ। তবে সেটা কম হয়ে গেলেই সমস্যা। ক্রনিক বা পুরনো কোন রোগ থাকলে এই সমস্যা হতে পারে। তবে শ্বাসকষ্ট, হাপানি রোগীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।এক্ষেত্রে অক্সিজেনের মাত্রা কমে অতিদ্রুত। তবে যারা রক্তাল্পতায় ভুগছে তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে।রক্তে অক্সিজেন বহনকারী হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে হাইপক্সিয়া হতে পারে।এজন্য তাদের নিয়মিত ব্লাডটেস্ট করা দরকার।সে ক্ষেত্রে অক্সিজেন লেভেল ৯০-এর নীচে নেমে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।কারও হার্টে ব্লকেজ থাকলে উপসর্গ হিসেবে হাইপক্সিয়া দেখা যেতে পারে। তখন রোগীর বুকে ব্যথা হবে।পাশাপাশি শ্বাসনালীতে খাবার আটকে যাওয়ার মত দূর্ঘটনা থেকেও হাইপক্সিয়া হতে পারে।
তবে এর থেকে প্রতিকারের উপায় কি? লকডাউন উঠে গিয়েছে।শুরু হয়ে গিয়েছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। স্বাভাবিক নিয়মে রাস্তায় বেরোলে বা ভিড়ের মধ্যে গেলে মাস্ক পরতেই হবে।তবে ভিড়ে অক্সিজেন কমে গিয়ে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যায়।সেক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হলে ভীড় এড়িয়ে ফাঁকা জায়গায় চলে যান।
যাঁরা নিজেরা গাড়ি চালান, তাঁদের গাড়ির মধ্যে সারাক্ষণ মাস্ক না পরে থাকলেও চলবে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।তবে গাড়িতে বাইরের কেউ থাকলে সতর্ক হওয়া দরকার। মর্নিংওয়াক এবং শরীরচর্চার সময়েও প্রয়োজন বুঝে মাস্ক পরতে বলেছেন চিকিৎসকেরা।তবে জিমে গিয়ে ওয়েট ট্রেনিং, কার্ডিয়ো বা অন্য এক্সারসাইজ় করার সময়ে মাস্ক না পরার পরামর্শ চিকিৎসকদের।সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রাখাই হল একমাত্র পন্থা।