নিউজ ডেস্ক, ১১ নভেম্বর : বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ শিবিরকে কড়া টক্কর দিয়েও জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারল না আর জে ডি কংগ্রেস মহাজোট। মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত ভোট গণনা চলে। শেষে দেখা যায় এনডিএ ১২৫ এবং মহাজোট ১১০ টি আসনে জয়লাভ করে।
কিন্তু ফলাফলের আগে বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল বিপুল মার্জিনে ক্ষমতায় আসছে আরজেডি কংগ্রেস মহাজোট। কিন্তু ভোটের সমস্ত বুথ ফেরৎ সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণিত করে চতুর্থবারের জন্য ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করলেন নীতীশ কুমারই৷ এই পরাজয়ের পিছনে কংগ্রেসকেই কার্যত কাঠগড়ায় তুলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে চতুর্থবারের জন্য ক্ষমতায় ফিরল জেডি(ইউ)-বিজেপি এনডিএ জোট। মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। চলে গভীর রাত পর্যন্ত। জোরদার লড়াই চলতে থাকে যুযুধান এন ডি এ এবং আর জে ডি মহাজোটের মধ্যে৷ কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে পড়তে হয় দু’পক্ষকেই৷ প্রতিনিয়ত চলে আসনের ওঠানামা।
উৎকন্ঠায় ছিলেন দুই শিবিরের নেতা কর্মীরাই৷ কে মসনদে বসবেন তা নিয়ে দিনভর জল্পনা চলে৷ কখনো এগিয়ে থাকতে দেখা যায় এন ডি এ শিবিরকে৷ আবার কখনও এগিয়ে ছিল মহাজোট৷ অবশেষে গভীর রাত পর্যন্ত গণনা শেষ দেখা যায় এনডিএ ১২৫ টি আসনে এবং আরজেডি কংগ্রেস ১১০ টি আসনে জয়লাভ করে৷ এছাড়াও আসাদুদ্দিন ওয়েইসির এআইএমআইএম ৫ টি, এবং বিএসপি ১ করে আসনে জয়লাভ করে৷ ১ আসন জিতে মুখ রক্ষা করে লোক জনশক্তি পার্টি৷ কিন্তু বুথ ফেরৎ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল উল্টো চিত্র। ক্ষমতায় আসছে আর জে ডি জোট৷ এই পরাজয়ের ঘটনায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আর জে ডির জোটসঙ্গী কংগ্রেসের দিকেই অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন। বিহারে কংগ্রেসের প্রভাব কার্যত ডুবন্ত জাহাজের মতন। উল্টোদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন দফায় দফায় রাজ্যে প্রচারে এসেছেন, তখন প্রচারের ফাঁকে শিমলায় ছুটি কাটাতে চলে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। প্রচারে আসেননি সোনিয়া কিংবা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। ফলে কংগ্রেসকে বেশি আসন ছাড়াটাই আর জে ডির কাল হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷