করোনার ধাক্কায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে কুমোরটুলি, মিলছে না বায়না

 নিউজ ডেস্ক , ২২ সেপ্টেম্বর :  শরৎ এসে ছুঁয়ে ফেলেছে তুলো মেঘের আকাশকে। হিন্দোলে মেতেছে কাশবন। কিন্তু প্রকৃতির সেই খুশি আসেনি মৃৎ শিল্পীদের মনে। আর তাই বাঙালির সবচাইতে বড় উৎসব দুর্গোৎসবে এবার যে ম্লান হতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

কারণ শরৎ শুরু হওয়ার বেশ কিছুদিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কিছু বাড়ির পুজো ছাড়া বড় বড় পূজা কমিটি, ক্লাব বা সংগঠনের তরফে প্রতিমার বায়না হয়নি অর্থাৎ কুমোরটুলির মুখোমুখিই হননি উদ্যোক্তারা। এমতাবস্তায় চরম সমস্যায় পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা। পরিবার ছেলেমেয়ে নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। কারণ তারা তো সারাবছর চেয়ে থাকে এই উৎসবের দিকে। বাড়তি রোজগার হয় এই উৎসবকে ঘিরেই। যা দিয়েই মূলত সারা বছরের পরিশ্রমের ফসল ঘরে তোলেন তারা। কিন্তু এবছর তাদের রুজি রোজগারে চরমভাবে থাবা বসিয়েছে করোনা মহামারি। অধিকাংশ পুজো কমিটি কাটছাঁট করেছেন বাজেটে।

পুজো হলেও থাকছে না কোনো জাঁকজমক। মৃৎশিল্পীরা জানিয়েছেন এবছর বায়না দেওয়ার পরেও বাসন্তী পুজোর প্রতিমা করোনার কারণে নিতে আসেনি অনেকেই। বানচাল হয়ে যায় পূজোর উদ্যোগ। এবার দুর্গা পুজো বা শারদোৎসবের দিকেও বড় বড় পুজো কমিটি গুলো এগিয়ে আসেনি। বরাতই পাওয়া যায় নি। যে সমস্ত প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে সবই ছোটমাপের। সেটারও বায়না মিলছে না। ফলে লোকসানের মুখে মৃৎশিল্পীরা। স্বাভাবিকভাবেই কুমোর পাড়ায় প্রাক আগমনীর মুহূর্তে এখন বিষাদের ছায়া।

Next Post

কৃষি বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল তৃণমূল যুব কংগ্রেস

Tue Sep 22 , 2020
নিউজ ডেস্ক , মালদা , ২২ সেপ্টেম্বর :  কৃষি বিলের প্রতিবাদে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি মালদা জেলাতেও আন্দোলনে নামলো তৃণমূল যুব কংগ্রেস। এই মর্মে মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই মালদা শহরের গান্ধী মূর্তির পাদদেশে কৃষি বিলের প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তৃণমূল যুব কংগ্রেস কর্মীরা। এদিনের অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচিতে […]

আপনার পছন্দের সংবাদ