নিউজ ডেস্ক ১৫ সেপ্টেম্বর : চলচিত্র জগত একটা শিল্প। এটিকে হত্যা করবেন না। জাতীয় দুর্যোগ দেখা দিলে এই শিল্প সরকারকে সহায়তা করতে পারে। সরকারের পক্ষে কথা বলার জন্য বা অর্থ এবং পরিষেবা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসতে পারে। – সংসদের মনসুন সিজন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে জয়া বচ্চন (Jaya Bachchan) চলচ্চিত্র জগতকে কালিমালিপ্ত করার প্রতিবাদে সরব হন। কয়েকজনের জন্য পুরো চলচ্চিত্র শিল্পর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
बड़ा आभारी हूँ भाई @ravikishann का कि संसद में बॉलीवुड और नशे पर बात चीत की।
थोड़ी बात भोजपुरी फ़िल्म इंडस्ट्री की भी करें। पिछले तीस साल से इस भाषा और उस कला के सीने पर नंगा नाच करके एक पूरी पीढ़ी में जो अश्लीलता का ज़हर घोला गया है उस पर भी बात होनी है। ज़िम्मेदार हैं वो।— Anubhav Sinha (@anubhavsinha) September 15, 2020
রবি কিশানের (Ravi Kishan) বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিনেমা জগতের একজন সদস্য হয়ে তিনি এভাবে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখলেন !
অন্যদিকে কঙ্গনা রাণাওয়াতের (Kangana Ranaut) মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে জয়া বচ্চন বলেন, বিনোদন শিল্পের লোকেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদেরকে কলুষিত করছে। সরকার যেন এই সব মানুষকে এই ধরণের ভাষা ব্যবহার না করার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেয়। যদিও রবি কিশান মন্তব্য করেন, তিনি কখনও বলেন নি যে পুরো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মাদক গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি গতকাল যা বলতে চেয়েছিলেন তা হল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশের জন্যও তিনিও অনেক লড়াই করেছেন। এই চলচ্চিত্র শিল্পকে ফাঁপা করে শেষ করার ষড়যন্ত্র চলছে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একজন দায়িত্বশীল সদস্য হিসাবে সংসদে এটি উত্থাপন করেছেন। কিন্তু জয়া বচ্চন সেটি বুঝতে পারলেন না।
যদিও কঙ্গনা রাণাওয়াত দাবি করেছিলেন ফিল্ম ইন্ডস্ট্রির ৯৯ % মানুষ মাদক সেবন করে। তার সাথে যে অমানবিক ঘটনা ঘটলো তার সেজন্য তার প্রতিও যেন সমবেদনা দেখান জয়া বচ্চন। এদিন বেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে অনুমতি নিয়ে চলচ্চিত্র সম্পর্কে কিছু কথা বলতে চান অভিনেত্রী তথা রাজ্য সভার সংসদ সদস্য জয়া বচ্চন। এদিন মাদক নিয়ে চলচিত্র জগতকে কলুষিত করার প্রতিবাদের পাশাপাশি ড্রাগ নিয়ে এনসিবির তদন্তের প্রসংশা করেন তিনি।প্রত্যক্ষ ভাবে অত্যন্ত ৫ লক্ষ লোক কাজ করে বলিউডে। আর পরোক্ষ ভাবে ৫০ লক্ষ। দেশের এই অর্থনৈতিক পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরাতে, এই ৫০ লক্ষ লোককেই অপমানিত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে জয়া বচ্চনের এই সাহসী বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন রা-ওয়ান, মুল্ক, আর্টিকেল ১৫ খ্যাত পরিচালক-প্রযোজক অনুভব সনহা। এদিন জয়া বচ্চনের এই সাহসী উক্তির পরিপ্রেক্ষিতে স্যোশাল মিডিয়ায় তিনি “ড়িড কি হড্ডি” ( মেরুদণ্ড) বলে সম্ভাষিত করেন জয়া বচ্চনকে। অপরদিকে ভোজপুরি ভাষার চলচিত্রের অশালীন দৃশ্য নিয়েও কটাক্ষ করেন রবি কিশানকে।