নিউজ ডেস্ক , ১০ ডিসেম্বর : ঘুষ নেওয়া ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির বিরুদ্ধে। ফ্রান্সের একটি আদালতে এই মর্মে সারকোজির বিচারের শুনানিও চলছে। বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে চার বছরের কারাদণ্ডের আবেদন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন সারকোজি। শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গত ২৩ই নভেম্বর। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ তা শেষ হওয়ার কথা। সারকোজির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, লিবিয়ার কোষাগার থেকে ঘুষ নেওয়া এবং নির্বাচনী প্রচারাভিযান অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ ব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ, ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারের জন্য লিবিয়ার প্রাক্তন শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে পাঁচ কোটি ইউরো ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন। ২০১১ সালে গণ অভ্যুত্থানে গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর তার জীবিত পুত্র সাইফুল ইসলাম গাদ্দাফির পক্ষ থেকে প্রথম এই অভিযোগ করে। সম্প্রতি বিচারককে ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে আদালতের রায়কে নিজের অনুকূলেও আনার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে সারকোজির বিরুদ্ধে । প্রসঙ্গত, সারকোজি যদি কারাদণ্ড হয়, তাহলে তা হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্রান্সের ইতিহাসে প্রথম কোনো ঘটনা, যেখানে একজন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দুর্নীতির ঘটনায় জেল যাচ্ছেন!