নিউজ ডেস্ক, ২৬ অক্টোবর : নবমী নিশি কাটলেই আসে বিদায় বেলা৷ উমাকে বিদায়,জানানোর পালা৷ স্বভাবতই মন খারাপ আপামর বাঙালি থেকে শুরু করে সমস্ত মর্ত্যবাসীর। আবার অপেক্ষা এক বছরের। তাই হাজারো মন খারাপের মাঝেও হাসিমুখে সিঁদুর খেলা ও মিষ্টিমুখের মাধ্যমে মহা আড়ম্বরে ঘরের মেয়েকে পাঠানো হয় তার শ্বশুরবাড়িতে। কিন্তু, এই বিজয়া দশমীর প্রকৃত তাৎপর্য হয়তো অনেকেরই অজানা। জেনে নেওয়া যাক এর প্রকৃত তাৎপর্য –
দশমী’ কথার অর্থ খুবই সহজ। পৌরাণিক কাহিনী মতে, আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে বাপের বাড়ি ছেড়ে উমা পাড়ি দেন স্বামীগৃহ কৈলাসের উদ্দেশ্যে। সেই কারণেই এই তিথিকে “বিজয়া দশমী” বলা হয়। কিন্তু দশমিকে বিজয়া বলা হয় কেন? তার কারণ খুঁজতে গেলে অনেক পৌরাণিক ব্যাখ্যা উঠে আসে। পুরাণ মতে, স্বর্গে যখন মহিষাসুরের অত্যাচার বেড়ে গিয়েছিল তখন তাকে বধ করতে দেবতারা শরণাপন্ন হয় দেবী দুর্গার। এরপর দেবী দুর্গা মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত্রি যুদ্ধ করার পর দশম দিনে তাঁর বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেছিলেন। তাই তাকে “বিজয়া” বলা হয়। এছাড়াও শ্রীশ্রীচণ্ডী কাহিনীতে বলা হয়েছে, দেবীর আবির্ভাব হয় আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে। পরে শুক্লা দশমীতে মহিষাসুর বধ করেছিলেন তিনি। তাই দশমীতে এই বিজয়কেই চিহ্নিত করে বলা হয় “বিজয়া দশমী”। অশুভের পরাজয়ে শুভের উদ্ভব এই দিন থেকেই। তাই বিজয়া আনন্দের দিন, উৎসবের দিন। প্রীতি ও সম্প্রীতির দিন।