
নিউজ ডেস্ক, ১৯ জুন : দেশজুড়ে করোনা আবহে জর্জরিত সাধারণ মানুষ। করোনা সংক্রমণে লাগাম টানতে প্রথম থেকেই সামাজিক দুরত্ব ও মাস্ক পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এর জেরে সুফল পাচ্ছেন অনেকেই। তবে উল্টো কথা বলছেন ইংল্যান্ডের একদল বিশেষজ্ঞ।
কিন্তু, এই মাস্ক ও দূরত্ববিধিই নাকি শিশুদের রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। এমনটাই দাবি,ইংল্যান্ডের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের।বিশেষজ্ঞদের মতে, বিগত ১৫ মাস ধরে শিশুরা বিভিন্ন ভাইরাল প্যাথোজেনের সংস্পর্শে আসেনি, ফলে দেহে তাদের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। সেই কারণে সহজেই ঋতু বদলে ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছে। দেহে পর্যাপ্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকায় আগামিদিনে বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।ইংল্যান্ডের একদল বিশেষজ্ঞের মতে,অতিমারি পরিস্থিতিতে দূরত্ববিধি মেনে চলা এবং মাস্ক পরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর ফলে সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে Respiratory Syncytial Virus মাথাচাড়া দেয়। আর তা সহজে শিশুদের শরীরে হামলা করে এবং তাদের আক্রান্ত করে। কারণ দূরত্ববিধি এবং মাস্কের কারণে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে তখনই শিশু শরীরে থাবা বসায় মারণ ভাইরাস। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি বছর ব্রিটেনে অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সী প্রায় প্রায় ৩০ হাজার শিশু Respiratory Syncytial Virus-এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। কিন্তু, করোনার কারণে এবছর সেই ছবিটা দেখা যায়নি।কিন্তু অতিমারি শুরুর পর গত দেড় বছরে সেই পরিস্থিতি আমূল বদলে গিয়েছে। গবেষকরা দেখেছেন, অতিমারি পর্বে ঘরে বাইরে সর্বত্র সব সময় মাস্ক পরে থাকা, শিশুদের মাস্ক পরানো, ঘরের ভিতর ও বাইরে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা এমনকি শিশুদেরও সেই নিয়মে অভ্যস্ত করে তোলার ফলে শিশুদের দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা আর আগের মতো মা, বাবা, আত্মীয় পরিজন, পরিবেশ থেকে নানা ধরনের সংক্রমণের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারছে না। তার ফলে, শত্রু চেনার দক্ষতা অর্জন করতে অসুবিধা হচ্ছে শিশুদের দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থার। এটাই শিশুদের উত্তরোত্তর দুর্বল করে দিচ্ছে।
