নিউজ ডেস্ক, ১৫ নভেম্বর : দুই প্রতিবেশি রাষ্ট্র চিন এবং পাকিস্তানের মোকাবিলায় দেশের তিনটি সেনাবাহিনীকে ক্রমশঃ শক্তিশালী করছে কেন্দ্র। বায়ু সেনার জন্য আনা হয়েছে ফান্সের আধুনিক যুদ্ধ বিমান রাফাল৷ তেমনি স্থল ও নৌবাহিনীকে মজবুত করতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ শুধু স্থল বা আকাশে নয়৷
সমুদ্রের নীচেও যাতে শত্রুপক্ষ মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে তারজন্য নৌ বাহিনীকে আগের তুলনায় অনেকটাই শক্তিশালী করে তোলা হয়েছে৷ নৌ বাহিনীকে যে কালভরি সাবমেরিন বা ডুবো জাহাজ দেওয়া হয়েছে তার কার্যক্ষমতা অনেক বেশি৷ আসুন জেনে নিই এই ডুবো জাহাজ সম্পর্কে৷ আই এন এস কালভরি ডুবো জাহাজ আদতে একটি ডিজেল ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিন৷ স্করপিন শ্রেণির৷ এই প্রথম ম্যাজাগন ডকস লিমিটেড-এর প্রোজেক্ট ৭৫-এর অধীনে ভারতেই, ফ্রান্সের ডিসিএনএস প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে৷ এই অত্যাধুনিক সাবমেরিন স্টিলথ সাবমেরিন এবং এটি এমনই প্রযুক্তিতে তৈরি যে শত্রুপক্ষও এই সাবমেরিনকে চিহ্নিত করতে পারবে না৷ এই সাবমেরিন বা ডুবো জাহাজের ওজন ১,৫৫০ টন এবং অ্যান্টি শিপ টর্পেডো, অ্যান্টিশিপ মিসাইল লঞ্চ করার জন্য রয়েছে ছ’টি ৫৩৩ মিলিমিটার টর্পেডো টিউব৷ চিন-পাকিস্তান দুই দেশের গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখতে এর ভূমিকা যে অনস্বীকার্য। ভারত মহাসাগরের ভয়ঙ্কর টাইগার শার্কের নাম অনুযায়ী এই সাবমেরিনের নামকরণ করা হয়েছে৷ মুম্বইয়ের নৌসেনার ডকে এই সাবমেরিনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷