নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ ১৬ সেপ্টেম্বর : বৃহস্পতিবার কারিগরি দেবতা বিশ্বকর্মা পুজো। অন্যান্যবার বিশ্বকর্মা পুজো ঘিরে এই সময়ে তুঙ্গে উঠতে পুজো উদ্যোক্তাদের ব্যস্ততা ৷ না খাওয়া ভুলে আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে মন্ডপ সজ্জায় ব্যস্ত থাকতেন ডেকোরেটর ও শিল্পীরা। কিন্তু এবছর করোনা অতিমারির জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন ৷ করোনা ধাক্কায় বেসামাল দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা।
ফলে তীব্র সংকটে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত সাধারন মানুষ। কিন্তু এই মহামারীর মধ্যেও ক্যালেন্ডারের পাতায় চলে এসেছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো ৷ যন্ত্রাংশ ও কারিগরি দেবতা বিশ্বকর্মা পুজো জানান দেয় দেবীর আগমনী বার্তা। শরতের আকাশ জুড়ে যেখানে রোদ ঝলমলে আবহাওয়া এবং পথে-ঘাটে কাশফুলের দোলা থাকার কথা সেখানে এবার উল্টো ছবি আবহাওয়ার প্রতিকূল কারণে কয়েক দিন ধরেই মেঘের ঘনঘটা রায়গঞ্জের আকাশে বাতাসে। ফলে বিক্ষিপ্তভাবে কখনও মাঝারি, আবার কখনও ভারী বৃষ্টিপাত চলছে রায়গঞ্জ সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। একদিকে করোনা আর অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই জোড়া আক্রমণের ফলে বিশ্বকর্মা পুজোর প্রস্তুতি ক্রমশঃ ব্যাহত হচ্ছে। তা সত্ত্বেও প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে রায়গঞ্জ পৌরবাস স্ট্যান্ডে জোরকদমে চলছে বিশ্বকর্মা পুজোর প্রস্তুতি।
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আই এন টি টি ইউ সি-র উদ্যোগে এই বিশ্বকর্মা পুজোয় প্রতিবছর থাকে নজরকাড়া ও আকর্ষণীয় থিম কিন্তু করোনার কারণে পুজো সেইভাবে জাকজমকপূর্ণ হচ্ছে না। সাংগঠনিকভাবে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে এবার পুজো হচ্ছে। সংগঠনের নেতৃত্ব রবিন রাহা জানিয়েছেন গত বছর এই সময়ের মধ্যে পুজোর প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়ে যায়। প্যান্ডেল, আলোকসজ্জার গেট সহ সমস্ত কিছু প্রস্তুতি শেষ হয়ে যায়৷ কিন্তু এবার করোনার কারণে চাঁদা সংগ্রহ করা করা যাচ্ছে না কিন্তু তা সত্বেও পুজো আয়োজন করা হয়েছে। পুজোয় বাহ্যিক আরম্ভর না থাকলেও প্রতি বছরের মতো এবারেও অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের আর্থিক সাহায্য ও তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।