নিউজ ডেস্ক, ৫ জানুয়ারী ২০২৩ : গৃহকর্ত্রীকে আঘাত করে সর্বস্ব লুঠ করে পালাল দুস্কৃতীরা। শনিবার সন্ধ্যারাতে এই দুঃসাহসিক ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ শহরের কুমারডাঙ্গী এলাকায়। ঘটনার সময় শিশুদের নিয়ে বাড়িতে ছিলেন ২ জন মহিলা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। তারই ফলস্বরূপ এদিনের ঘটনা। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
সন্ধ্যারাতে শহরের জনবহুল এলাকায় বাড়িতে লোকজনের উপস্থিতিতেই লুঠতরাজ চালাল দুস্কৃতীরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ শহরে। শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে রায়গঞ্জের কুমারডাঙ্গী এলাকায়। এই এলাকার বাসিন্দা সায়ন দাস পেশায় পৌরসভার কর্মী। তার বাড়িতেই ঘটে এই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা। জানা যায় ঘটনার সময় সায়ন বাবুর স্ত্রী পুজা সিং দাস, তার দুই ছোট সন্তান ও পরিচারিকা বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। পূজা দেবী জানান, বেশকিছুক্ষন থেকেই বাড়িতে বহিরাগত কারো উপস্থিতি টের পাচ্ছিলেন তিনি। বিষয়টি ফোন মারফৎ তিনি তার স্বামীকেও জানান। এরই মাঝে পূজা দেবী শৌচালয়ে যেতেই দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব শুরু করে। তিনি বেরিয়ে এসে খোঁজাখুঁজি করতেই দুই দুষ্কৃতী ঘর থেকে বেরিয়ে তাকে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে ফেলে দিয়ে সর্বস্ব নিয়ে চম্পট দেয়। এরই মধ্যে চিৎকার-চেঁচামেচিতে ছুটে আসেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। দেখা যায় শোবার ঘরের আলমারি ভাঙ্গা। পূজা দেবী জানান, প্রায় ৬৫ গ্রাম সোনার অলংকার ও নগদ দশ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
এদিকে এই ঘটনার খবর চাউর হতেই ভিড় জমে যায় সেখানে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি ঠিক কিভাবে ঘটনা ঘটলো তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সংগ্রহ করেন পুলিশ আধিকারিকরা। এই ঘটনার জেরে রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকার সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি এর আগেও বেশ কয়েকবার ওই এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে এত বড় ঘটনা এই প্রথম। স্থানীয়দের দাবি পার্শ্ববর্তী একটি বাগানের মধ্যে প্রতিনিয়ত সন্ধ্যের পর অসামাজিক আসর বসে। যেখানে অসাধু মানুষজনদের আনাগোনা লেগেই থাকে বলে অভিযোগ। সেখান থেকেই দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে চুরির ঘটনা ঘটায়। একাধিকবার পুলিশকে জানানো হলেও তেমন কোন সক্রিয় পদক্ষেপ নজরে আসেনি বলে অভিযোগ এলাকার সাধারণ মানুষের। অবিলম্বে এর স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন পাড়ার মানুষজন। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।