নিউজ ডেস্ক : প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড 19 রোগীর সংখ্যা । সমহারে বাড়ছে মৃত্যু । সমীক্ষা বলছে 70 থেকে 80 শতাংশ মানুষই থাকছেন উপসর্গবিহীন করোনা পর্বের শুরু থেকেই কিন্তু রোগে আক্রান্তের চিকিৎসা করানোর চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা কি করে কমানো যায় সে দিকে জোর দেওয়া হয়েছিল এবং সেখানে লকডাউন, মাস্ক ব্যবহার করা, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদির সঙ্গে সঙ্গে ‘ইমিউনিটি’ বাড়ানোর কথা আলোচিত হয়েছে বারেবারে। আসলে ‘ইমিউনিটি’ বাড়ানোটা কিন্তু চটজলদি হয়না। ইমিউনিটির একটা অংশ মানুষ জন্মসূত্রে পায় ।
তারপর পরিবেশের সঙ্গে মিশতে মিশতে তৈরি হয় এবং সামগ্রিকভাবে এই ইমিউনিটি ঠিক করে যে সেই মানুষটি রোগের বিরুদ্ধে কতটা লড়তে পারবে। সেই কারনেই বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এই প্রসঙ্গ বারবার ফিরে ফিরে আসছে। প্রশ্ন তাহলে কিভাবে বাড়ানো যায় এই ইমিউনিটি? কেউ কেউ দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাচ্ছেন ।কেউ খাচ্ছেন ফল ।কেউ খাচ্ছেন রসুন ।কেউ খাচ্ছেন আবার ঘন ঘন গরম জল।
মানুষ বাজার থেকে এত পরিমাণ ভিটামিন সি’ কিনে খাচ্ছেন যে বাজারে আর এখন এই ওষুধ একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না, কিন্তু বিজ্ঞান কি বলছে ? কিছু কিছু খাবার কিন্তু সত্যি সত্যি ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন প্রোটিন (মাছ মাংস ডিম সয়াবিন)। সবুজ শাকসবজি ( গাজর, বিট, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, পালংশাক, ক্যাপসিকাম, ব্রকোলি, ধনেপাতা, বরবটি )।
তেমনি বিভিন্ন ফল। যেমন -লেবু, পেয়ারা, পাকা পেঁপে, টমেটো, আনারস, অঙ্কুরিত ছোলা, মুগ, কিউই ফল প্রভৃতি।
পরিমিত পরিমাণ গ্রিন টি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন লিটার পরিমান জল পান করা জরুরী । আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র এবং ইউএসএফডি এর মত অনুযায়ী হলুদে এমন কিছু থাকেনা যা দিয়ে কোন রোগের চিকিৎসা হতে পারে করোনার সংক্রমণ রোধ করার তো নয়ই। হলুদে যেহেতু 34 টি প্রয়োজনীয় তেল জাতীয় উপাদান থাকে যা বিভিন্ন ভাবে শরীরের কাজে লাগে। আসলে হলুদ দুধ বা গোল্ডেন মিল্ক হচ্ছে সাউথ এশিয়ার এক ধরনের খাবার যা ভারী খাবারের পর পানীয় হিসেবে নেওয়া হয়।
করোনা সংক্রমণ রোধে খুব বেশি ভূমিকা নেই। তবে রসুনে ভিটামিন সি বেশি।ভিটামিন সি পরিমিত পরিমাণে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সেই কারণে রসুনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে।তবে মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন সি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক । তবে ইমিউনিটি বাড়াতে হলে যেমন কিছু কিছু খাবার খাওয়া জরুরি আবার কিছু কিছু বদঅভ্যাস ত্যাগ করা ও জরুরি। যেমন মদ্যপান এবং ধূমপান ছাড়তে হবে ।বেশি মিষ্টিজাতীয় খাবার ঠান্ডা পানীয় বা ফ্রিজের খাবার চলবে না। হালকা ব্যায়াম বড়দের ক্ষেত্রে আধাঘন্টা এবং ছোটদের বা যুবকদের ক্ষেত্রে এক ঘণ্টা এবং যোগাভ্যাস টা জরুরী।