নিউজ ডেস্ক , ১৯ অক্টোবর : প্রতিদিনই ভাত রান্নার সময় চাল ধুয়েই রান্না করি আমরা। আর সেই চাল ধোয়া জল ফেলেও দেই। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন যে এই ফেলনা জলটুকুই আপনার চুল ও ত্বকের নানা সমস্যা দুর করতে কতটা উপকারী ? না জানলে বরং আজ জেনে নিন।
চুলের বৃদ্ধিতে চাল ধোয়া জল : হেয়ার মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন চাল ধোয়া জল বা রাইস ওয়াটার। সেজন্য প্রথমে ভালো করে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। তারপর চাল ধোয়া জল ভালো করে চুলে ঢালতে থাকুন, সঙ্গে করুন হালকা হাতে মাসাজ। এবার ১০ মিনিট মতো মাথায় রেখে দিন এই মাস্ক। এরপর ভালো করে পরিষ্কার জলে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিনবার করে এটি অ্যাপ্লাই করুন এতে চুল তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে।
ফেসিয়াল ক্লিনজার হিসেবে চাল ধোয়া জল : চাল ধোয়া জল আরেকটি ফেসিয়াল ক্লিনজার হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এ জন্য কটন বল বা কটন প্যাডকে চাল ধোয়া জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর প্রতিদিন এই ভেজানো কটন বল দিয়ে মুখের ত্বক হালকা করে ম্যাসেজ করুন। কয়েক মিনিট এমন ম্যাসেজ করার সুফল কয়েকদিনের মধ্যে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
রোদে পোড়া ত্বক থেকে মুক্তি : রোদে বাইরে গেলে ত্বক কালো ছাপ পড়ে ও ট্যান ধরে। রোদে পোড়া ভাব দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন চাল ধোয়া জল। ফ্রিজে রাখা চাল ধোয়া জল দিয়ে হাত ও মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। রোদে পোড়াভাব তো যাবেই একই সাথে চুলকানি বা এলার্জি জাতীয় সমস্যা থেকেও পাবেন মুক্তি।
চুলের গোড়া শক্ত করতে : চাল ধোয়া জলে প্রচুর অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে যা চুলের গোড়া মজবুত করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই চাল ধোয়া জলের সাথে খানিকটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি স্ক্যাল্পে খুব ভালো করে ম্যাসাজ করুন । ২০ মিনিট পর ভালো করে শ্যাম্পু করে নিন। চুলের গোঁড়া মজবুত করে চুল ওঠা রোধ করতে এটি দারুণ কার্যকরী।
ব্রণ নির্মূল করতে : ব্রণ এর সমস্যা থাকলে চাল ধোয়া জল খুবই উপকারী। চাল ধোয়া জলে তুলো ভিজিয়ে ব্রণ এর ওপরে লাগিয়ে রাখুন। ব্রণ থেকে মুক্তি পাবেন তাড়াতাড়ি।