নিউজ ডেস্ক , ০৭ নভেম্বর : করোনা সংক্রমণ মানুষকে শিখিয়েছে জীবনযাপনের নতুন ধারণকে। দৈনন্দিন জীবন যাপনে যুক্ত হয়েছে মাস্ক, স্যানিটাইজার, নিউ নর্মাল সহ নানান নতুন নতুন শব্দ।এই সংক্রমণে ছোঁয়াচ থেকে বাঁচতে সতর্ক বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দেশে।
এই সংক্রমণ থেকে শিক্ষা নিতে না পারলে কঠিন হয়ে যাবে সভ্যতার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৭৩তম ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলিতে এমন সতর্কবাণী শোনা গেল বিশেষজ্ঞদের মুখে। যে কোন দেশেরই সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিকাঠামোর মূল ভিত্তি জনস্বাস্থ্য। কিন্তু যেকোন দেশের পরিকল্পনা খাতে সবচেয়ে অবহেলিত হয় জরুরী এই বিষয়টি। এর পরিণতিই হচ্ছে বিশ্ব জুড়ে ভাইরাসঘটিত রোগের দাপট।বিপর্যস্ত করে তুলেছে জনজীবন।এর নিদারুণ পরিণতি হিসেবে ঘটছে প্রাণহানি। বিগত কয়েক দশকের সবথেকে চর্চিত এই রোগের আলোচনায় বিশেষজ্ঞেরা অভিমত প্রকাশ করেছেন যে, ভাইরাসঘটিত সংক্রমক রোগকে কোনভাবেই অবহেলা করা যাবে না। যে কোনও সংক্রামক রোগের চিকিৎসায় সমস্ত দেশকে তৈরি থাকতে হবে। রোগের প্রকোপ যাতে কোনও ভাবেই বাড়তে না পারে, তার জন্য একদিকে যেমন স্বাস্থ্য শিক্ষার প্রচার করতে হবে। তেমনি চিকিৎসা ব্যবস্থাকেও চাহিদা পূরণের পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।এই অবহেলার দরুণ বহু আধুনিক উন্নত দেশও চিকিৎসা পরিষেবা দিতে নাকাল হয়েছে। অভাব দেখা গিয়েছে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মীর।এখনই এই বিষয়গুলিতে গুরুত্ব না দিলে কঠিন হয়ে পড়বে মানব সভ্যতার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা।ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলির মতে, গর্ভবতী ও শিশুর পুষ্টী, স্নায়বিক রোগের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দিতে হবে। জনসমাজের কতটা অংশ এইসব রোগের শিকার হচ্ছেন, এ নিয়ে সরকারি নজরদারিতে তথ্য না থাকলে ও প্রথম থেকেই প্রয়োজন মাফিক পদক্ষেপ না নিলে জটিল হয়ে উঠবে এসব সমস্যা।এই দিকগুলো এখন থেকেই গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা না করলে পরবর্তী যেকোন মহামারী আরো ভয়াবহ ও কঠিন রুপ নেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। পরিস্থিতি তখন করোনার থেকেও আরো বেশি ঘোরালো ও ভয়ংকর হয়ে উঠবে বলে অভিমত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।