আর সি টি ভি সংবাদ – আর্থিক প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে প্রখর ইচ্ছেশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমে ডব্লিউবিসিএস পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলে কেশব দাস। এবারে বিডিও হওয়ার পথে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরদমনগর গ্রামের বাসিন্দা কেশব। তার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত পরিজনদের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারা।যদিও তার এই লড়াইটা মোটেই সহজ ছিল না। অভাব তাঁর পরিবারের দৈনন্দিন সঙ্গী। বাবা শ্রমিকের কাজ নিয়ে ভিন্ রাজ্যে ছিলেন।
আরও পড়ুন-১৭ বছরের মৃত নাবালকের ময়নাতদন্তে বয়স ৩৪, হাসপাতালের এমন রিপোর্ট দেখে চোখ কপালে
যদিও করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের সময়ে কাজ হারিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। বর্তমানে দিনমজুরি এবং অন্যের জমিতে চাষবাস করে সংসার চালান।২০১১ সালে হরদমনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন ও দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন ৭৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে।
আরও পড়ুন-রায়গঞ্জের নামি শপিংমল চার টাকার জন্য দন্ডি গুনলো চার হাজার টাকা !
তার পরে মালদা কলেজ থেকে সংস্কৃতে অনার্স ও গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। সেখানে থাকতেই আমলা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কেশব।২০২০ সালে দ্বিতীয়বার ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় বসেন।চলতি মাসের ২রা ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।ডব্লিউবিসিএস এক্সিকিউটিভ ‘A’ বিভাগে পশ্চিমবঙ্গে ২৭ র্যাঙ্ক করেছেন কেশব।যদিও আর্থিক অভাবের কারণে সেই রকম কোচিং নিতে পারেননি। তবে নিজে টিউশন পড়িয়ে পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতেন বলে জানান কেশব।তার ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল শিক্ষক হওয়ার।তবে পরে বিসিএসের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন তিনি। কঠোর পরিশ্রমেই সাফল্য ধরা দিয়েছে বলে অভিমত কেশবের।ছেলের সাফল্যে গর্বিত বাবা-মা। বহু কষ্ট ও কৃচ্ছসাধনের পর তার এই সাফল্য বলে জানিয়েছেন তার বাবা জ্ঞানবান দাস।