নিজস্ব সংবাদদাতা , হেমতাবাদ, ৩০ অক্টোবর : স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য কয়েক লক্ষ টাকা ব্যায়ে কর্মতীর্থ ভবনের উদ্বোধন হলেও আজও তা চালু হয়নি। কর্মতীর্থের বাইরের শেডটিতে গবাদি পশুর খাবারের খড়, জ্বালানির খড়ি, ঘুঁটে রাখার পাশাপাশি গোয়ালঘর হিসেবে ব্যবহার করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকার স্বনির্ভর দলের সদস্যরা।
উল্লেখ্য কয়েক বছর আগে রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪ নম্বর কমলাবাড়ি অঞ্চলের ঠুনঠুনি মোড়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য তৈরি করা হয় কর্মতীর্থ ভবনটি। কিন্তু এখনো সেটি চালু নাহওয়ায় ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কর্মতীর্থের স্টল ও শেডে গরু, ছাগল,কুকুরের অবাধ বিচরন। স্টলগুলিতে গবাদি পশুর খাবার মজুত করে রেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অথচ অঞ্চলের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতের তৈরি সামগ্রী কেনাবেচার জন্য এই ভবনটি গড়ে ওঠে। স্থানীয় তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, প্রায় দশ বছর ভবনটি পড়ে রয়েছে। মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তাঁরা দায়িত্ব পালন করছেন না। তাই এখন তা গোয়ালঘরে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে এলাকাবাসীরা বলেন, স্টলগুলি এভাবে ফেলে না রেখে স্থানীয় বেকারদের মধ্যে বিলি করা হোক। তাহলে স্থানীয় যুবকেরা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েতের বিরুদ্ধেও উদাসীনতার অভিযোগ এনেছেন তারা। অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে কর্মতীর্থটি চালুর দাবী ক্রমশঃ জোড়ালো হচ্ছে এলাকায়।