নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ২৫ ডিসেম্বর : বড়োদিনের অনেক আগে থেকেই প্রতিবছর বনভোজন বা পিকনিক উৎসবে মেতে ওঠে উৎসব প্রিয় বাঙালি। শীতের আমেজে দূর-দূরান্ত থেকে বহু সাধারণ মানুষ রায়গঞ্জের শিয়ালমণিতে পিকনিকে মেতে ওঠেন কিন্তু এবছর করোনা মহামারির জেরে শিয়ালমণিতে পিকনিক নিষিদ্ধ করল বনদপ্তর।
শীতের মরসুমে ডিসেম্বর মাস পড়তেই পিকনিকে মেতে ওঠে উৎসব প্রিয় সাধারণ মানুষ। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কুলিক ফরেস্ট সংলগ্ন শিয়ালমণিতে প্রতিবছর পিকনিক করতে ভিড় জমান উত্তরবঙ্গের মালদা, দক্ষিণ ও উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। একদিকে এঁকেবেঁকে চলা কুলিক নদী আর শাল, সেগুন, শিমুল, পলাশ দিয়ে ঘেরা এই মনোরম পরিবেশে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায় এক মাস ধরে পিকনিকের পর্ব চলে শিয়ালমণিতে। প্রচুর মানুষের সমাগম হয় এই একমাস ধরে কিন্তু এবছর করোনা অতিমারির জেরে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা কার্যত অসম্ভব বন দপ্তরের কাছে। বন দপ্তরের স্বেচ্ছাসেবকরা পিকনিকস্পটে থাকলেও তাতে আনন্দ আর হৈ-হুল্লোড়ের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি পিকনিক করতে আসা মানুষজন কতটা মানবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছেন খোদ বন দপ্তরের আধিকারিকরা। তাই এই পরিস্থিতিতে চিন্তা ভাবনা করে শিয়ালমণিতে বড়োদিন ও বর্ষবরণের উৎসব উপলক্ষ্যে বনভোজন বা পিকনিক করা যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল বনদপ্তর। ইতিমধ্যেই শিয়ালমণির প্রবেশপথেই ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে। বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে গোটা পিকনিক স্পট৷ এদিন অনেকেই পিকনিক করতে এসে শিয়ালমণি থেকে ঘুরে যান। বন দপ্তরের এই নিষেধাজ্ঞায় স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ বন ভোজনরসিকদের৷ রায়গঞ্জের বাসিন্দা শেখর পাল বলেন,’বন দপ্তরের পক্ষ থেকে পিকনিক করা যাবে না বলে নোটিশ টাঙানো হয়েছে শিয়ালমণিতে। আমরা না জেনেই পিকনিক করতে এসেছিলাম৷ মনটা খারাপ হয়ে গেল।’ অন্যদিকে বন দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার মঞ্জুলা তিরকি বলেন,’করোনা মহামারির কারণে জমায়েত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সংক্রমণ বাড়তে পারে। তাই শিয়ালমণিতে পিকনিক করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।