নিউজ ডেস্ক , ১২ অক্টোবর : কৃষি বিল নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। অবিজেপি রাজ্যগুলির মধ্যে কৃষক অসন্তোষ তীব্র আকার নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার বারবার কৃষকদের স্বার্থে এই বিল আনা হয়েছে বলে দাবি করলেও বিরোধীরা তা মানতে নারাজ। বরং কৃষকদের একটা বড় অংশ এই কৃষি বিল নিয়ে তীব্র আন্দোলনে নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হিন্দি বলয় বলে পরিচিত বিহার বিধানসভার নির্বাচন।
আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতি কোন পথে যাবে তা অনেকটা নির্ভর করছে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের উপর। আর সেকারণেই বিজেপি নেতৃত্ব নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে বিহার নির্বাচনে কোমর বেঁধে নেমেছে। বিহারের প্রতিটি বিধানসভা নির্বাচনে জোরদার করা হবে এই করোনা আবহের মধ্যেও। তবে প্রচারের প্রধান মুখ অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এছাড়াও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি নাড্ডা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিহারের বিজেপি নেতা সুশীল মোদি, সঞ্জয় জসওয়াল, ভূপেন্দ্র যাদব, রবি শংকর প্রসাদ, গিরিরাজ সিং, স্মৃতি ইরানি, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সহ এক ঝাঁক হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিহার বিধানসভার প্রচারে ঝড় তুলবেন। নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ৩০ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে হেভিওয়েট বিজেপি নেতাদের। উল্লেখ্য বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে সম্প্রতি বেশকিছু প্রকল্প ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি নেতৃত্ব বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে যেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে তাতে নির্বাচনের ফলাফল আশানুরূপ না হলে আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷