জেনে নিন, রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা প্রদানকারী আমেরিকা সিক্রেট সার্ভিস সম্পর্কে

নিউজ ডেস্ক , ০৮ নভেম্বর :    আমাদের দেশে যেমন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে এস পি জি, তেমনই মার্কিন রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকে আমেরিকা সিক্রেট সার্ভিসের ওপর৷ রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা। শুধু রাষ্ট্রপতি বললে ভুল হবে, রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যবৃন্দ, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও তাদের প্রত্যেকের পরিবারেরও নিরাপত্তা দেওয়া সিক্রেট সার্ভিসের কাজ। কিভাবে এরা নিরাপত্তা দেয়? সাধারণ মানুষ বা শত্রু কি এদের চোখে ফাঁকি দিতে পারে? চলুন এসব অজস্র প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করি আমরা :-

দামি স্যুট, চকচকে বুট, চোখে একটি গাঢ় কালো সানগ্লাস, কানে ব্লুটুথ ইয়ারফোন থাকে প্রত্যেক সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের। এভাবেই সাধারণ মানুষ সিক্রেট সার্ভিসের একজন সদস্যকে দেখে অভ্যস্ত। বাঁধাধরা পোশাকের মধ্যে যদি একজন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টকে চিহ্নিত করেন, তাহলে মহাভুল করবেন আপনি। কারণ আমেরিকার রাজপথে হাঁটলে এসব পোশাকি জ্ঞান কোনো কাজেই আসবে না। বলা ভাল, আপনার দৃষ্টি যতই প্রখর হোক না কেন, সেই দৃষ্টিকে এড়িয়ে তারা আপনার উপর নজরদারি করার মতো দক্ষতা রাখে সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা। নিরাপত্তা নিয়ে ছেলেখেলা করা চলে না এখানে। সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের দুনিয়ার তাবৎ সবকিছুর জন্য সর্বক্ষণ তৈরি থাকতে হয়। খুনের চেষ্টা, অপহরণ, সম্মুখযুদ্ধে গোলাগুলি সবকিছুর জন্যই কৃত্রিম প্রেক্ষাপট তৈরি করে তাদের উপর্যুপরি আধুনিক প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হয়। উন্নততর প্রযুক্তি দ্বারা সর্বদা বেষ্টিত থাকেন এঁরা। তাঁদের চোখ ফাঁকি দেওয়া সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা প্রাথমিক মেডিক্যাল ট্রেনিংপ্রাপ্ত হয়ে থাকে।

প্রেসিডেন্টের রক্তের গ্রুপবিশিষ্ট রক্তের ব্যাগ সবসময় তাদের সঙ্গে থাকে, যাতে জরুরী প্রয়োজনে বা দুর্ঘটনার শিকার হলে তৎক্ষণাৎ তাকে রক্ত সরবরাহ করা যায়। আমেরিকান সিক্রেট সার্ভিস তাদের কাজের গোপনীয়তা রক্ষার্থে প্রেসিডেন্ট, তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ, ভাইস প্রসিডেন্টগণ ও রাজনৈতিক প্রার্থীদের জন্য বিভিন্ন কোড নেইম ব্যবহার করে থাকে। সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা কখনই রাষ্ট্রপতিকে একা ছাড়তে পারবে না। যেখানে রাষ্ট্রপতি যাবেন, তারাও সেখানে যেতে বাধ্য। যদি রাষ্ট্রপতি প্রাতঃভ্রমণে বের হন,উপায় নেই তাঁদেরকেও বের হতে হবে। তবে রাষ্ট্রপতি নিজে চাইলে তাঁর ওভাল অফিসে একা থাকতে পারেন।এক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ওভাল অফিসের মেঝেতে বসানো থাকে মোশন সেন্সর৷

Next Post

চা বাগানে নাইটগার্ড নিয়োগ নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তেজনা চোপড়ায়

Sun Nov 8 , 2020
নিজস্ব সংবাদদাতা , চোপড়া , ০৮ নভেম্বর :  চোপড়া থানার হাপ্তিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়বিল্লাতে নাইট গার্ড নিয়োগ করার বিষয়ে লেনদেন নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোলের জেরে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। শনিবার সন্ধ্যায় দফায় দফায় চলে গুলি বোমা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয় সূত্রে […]

আপনার পছন্দের সংবাদ