আরসিটিভি সংবাদ – আর্থিক অনটনের জন্যে পাননি উচ্চশিক্ষার সুযোগ। নিজের এবং পরিবারের ভরণপোষণে উপার্জনের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন টোটো চালানো। কিন্তু আর্থিক প্রতিবন্ধকতা যাতে অন্য পড়ুয়াদের পড়ার পথে অন্তরায় না হতে পারে, সেজন্য এলাকার খুদেদের শিক্ষাদানে ব্রতী হয়েছেন টোটোচালক ধ্রুব দাস। মহাপুরুষেরা বারবার ডাক দিয়েছে মানুষের পাশে দাঁড়াতে।
আরও পড়ুন – মালদায় বন্ধুদের চায়ের আড্ডায় চললো গুলি !
আর সেই ডাকে সাঁড়া দিয়েই শিক্ষাদানের মহান ব্রতে উদ্যোগী হয়েছে মালদা শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডিজেল শেড কলোনী এলাকার বাসিন্দা ধ্রুব। উল্লেখ্য এই কলোনীর অধিকাংশ বাসিন্দাই নিম্নবিত্ত শ্রমজীবি পরিবার। কোনমতে তিনবেলার সকলের খাদ্যেয় জোগানেই ব্যস্ত থাকতে পরিবারের বড়রা। এরকমই এক পরিবার থেকে উঠে আসা ধ্রুবর। উচ্চমাধ্যমিকের পর ইতি ঘটে প্রথাগত পড়াশোনায়।
আরও পড়ুন – জলপাইগুড়িতে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল কামরূপ এক্সপ্রেস
পরিবারের আর্থিক সংস্থানে পড়াশোনা ছেড়ে বাধ্য হয় টোটো চালাতে। মালদা শহরের আনাচে কানাচে চলে যান টোটো নিয়ে। তবে বর্তমানে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপেই শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। সেখানে দাঁড়িয়ে প্রয়োজনীয় গাইডেন্সের অভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে এলাকার খুদে পড়ুয়ারা। সেই গুরুত্ব অনুধাবন করেই গত একবছর ধরে বিনামূল্যে পড়াচ্ছেন ধ্রুব। দাদার টিউশন নামে যা সাড়া ফেলেছে পাড়ার খুদেদের মধ্যে।পাড়ার একটি ক্লাবঘরে সকাল সাতটা থেকে নয়টা পর্যন্ত পড়িয়ে নিজের কাজে যায়। এই শিশুদেরপ্রত্যেকেই সরকারি স্কুলে পড়ে। সেখানে নানা সুযোগ সুবিধা পেলেও পঠন পাঠনে প্রয়োজনীয় গাইডেন্সের অভাবে পিছিয়ে পড়ছিলো তারা। সেখানেই তাদের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন ধ্রুব।
আরও পড়ুন – মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মৃত পরীক্ষার্থীর বাড়িতে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা
তবে শিশুদের পাঠদানই শুধু নয়, পড়ুয়াদের অন্যান্য সমস্যার সমাধানেও এগিয়ে আসে ধ্রুব। তার কাছে পড়ে পাঠ্যবিষয়গুলিতে আগ্রহ বাড়ছে বলে জানিয়েছে খুদে পড়ুয়ারা।অন্যদিকে ধ্রুবর এই উদ্যোগে খুশি এই খুদে পড়ুয়াদের অভিভাবকেরাও। বাড়ির ছেলে মেয়েদের বিনামূল্যে পাঠদান করানোয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারা।