আরসিটিভি সংবাদ : একাধারে আলুর ফলন ও দাম নিয়ে চূড়ান্ত বিপাকে রায়গঞ্জ মহকুমার কৃষকরা। সারের অগ্নিমূল্য ও প্রতিকূল অবহাওয়ার তীব্র প্রভাব পরেছে বলে দাবী কৃষকদের।
এই পরিস্থিতিতে সরকারি সহায়তার দাবী জানিয়েছেন তারা। যদিও জেলায় গড় হিসেবে আলুর ফলন স্বাভাবিক রয়েছে বলে দাবী কৃষি দফতরের। আলুর ফলন ঘিরে এবছরে অসন্তোষ ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ মহকুমায়। গত বছরের তুলনায় ফলন অনেকটাই কম বলে দাবী আলুচাষীদের। প্রসঙ্গতঃ এই আলু অগ্রহায়ন মাসে জমিতে বপন করা হয়। অর্থাৎ শীতের মরশুমি আলু হিসেবে পরিচিত এটি।
আরও পড়ুন – রায়গঞ্জে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু !
৩ মাস ধরে চাষাবাদের পর ফাল্গুনে তা তোলা হয়। এবছর সেই আলুর ফলন ঘিরেই মাথায় হাত কৃষকদের একাংশের। আমরা পৌছেছিলাম রায়গঞ্জ ব্লকের সিজগ্রাম এলাকায়। এই অঞ্চলটি কৃষি প্রধান হিসেবে পরিচিত। যেখানে প্রচুর আলুর ফলন হয়। যার উপর নির্ভর করে সংসার প্রতিপালন করেন কৃষকরা। আমরা কথা বলেছিলাম তাদের সাথে। কৃষকদের বক্তব্য, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে আলুর ফলন তুলনামূলক ভাবে কম। যার অন্যতম প্রধান কারন হিসেবে তারা তুলে ধরেছেন সারের অগ্নিমূল্য।
আরও পড়ুন – বিকট শব্দে কেপে উঠলো এলাকা!কেন?
পাশাপাশি প্রতিকূল আবহাওয়াও অনেকটাই দায়ী এর জন্য। গত বার যেখানে ১০ কাঠা জমিতে ৬০-৬৫ বস্তা আলুর ফলন হয়েছিল এবারে তা ৪৩ বস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি আলুর দামও অনেকটাই নীচে। কৃষকদের বক্তব্য, ব্যাঙ্ক থেকে ঋন নিয়ে চাষ করেছেন। এখন এমন পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে পরেছেন তারা। সরকারি সহায়তার দাবী জানিয়েছেন কৃষকরা। অন্যদিকে এবিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম, জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা ডঃ সফিক-উল আলমের সাথে। তিনি বলেন, এবছরে জেলার ২৮ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। গতবছরে জেলায় ফলন হয়েছিল ৮ লক্ষ মেট্রিক টন।
আরও পড়ুন – বিজেপির বুথ সভাপতির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা !
এবারেও সমান ফলন হবে বলে আশাবাদী কৃষি অধিকর্তা। কৃষকদের একাংশের মধ্যে আলুর ফলন নিয়ে অসন্তোষ ছড়ালেও কৃষি আধিকারিক গড়ে তেমন কোনো অস্বাভাবিকতা দেখছেন না ফলনে। ধসা রোগে মাঝে কিছুটা সমস্যা তৈরী হলেও তাতে তেমন কোনো বড়সড় প্রভাব পরেনি। পাশাপাশি কৃষি অধিকর্তার বক্তব্য, এই সময় আলুর দাম স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা কম থাকে। তবে সারের মূল্য নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করে কৃষি দফতর।