নিউজ ডেস্ক , ০৯ নভেম্বর : রবি মরসুমের শুরুতে অমিল সার। ফলে চাষাবাদ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে পুরাতন মালদার বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষকেরা। এই সুযোগে চলছে সারের কালোবাজারি। এমনকি বিক্রি হচ্ছে ভেজাল সারও। ফলে সার নিয়ে এই সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের কাছে পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন কৃষকেরা।
গ্রামীণ এলাকাগুলোতে শুরু হয়েছে রবি মরসুমের ফসল চাষ। কিন্তু মরসুমের শুরুতে ফসল চাষ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে পুরাতন মালদার বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষকেরা। বাজারে মিলছে না চাষের জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সার। ইতিমধ্যে মালদায় এলাকায় জমি থেকে ধান তোলবার পর শুরু হবে আলু, সর্ষে চাষ। কিন্তু বাজারে সার না মেলায় সমস্যা পড়েছে কৃষকেরা। সার পাওয়া গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা ভেজাল। অন্যদিকে এই সুযোগে চলছে সারের কালোবাজারি।সার কিনতে গেলে গুনতে হচ্ছে বেশি টাকা। আবার কোথা সরকার নির্ধারিত মুল্যের বেশিতে সার কিনতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে সারের কালোবাজারি বন্ধে প্রশাসনের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া সত্ত্বেও কোন কাজ হয়নি। ফলে সার নিয়ে এই সমস্যা সমাধানে প্রশাসনকে উদ্যোগ গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন কৃষকেরা। যদিও সারের কালোবাজারির অভিযোগ মানতে চাননি ব্যবসায়ীরা। যোগান কম থাকার জন্যে সার নিয়ে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে দাবী সার ব্যবসায়ীদের।
কালীপুজোর আগে কুমোরটুলির ব্যস্ততা, দাম বাড়েনি প্রতিমার
অন্যদিকে সারের কালোবাজারি নিয়ে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। তবে ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সারের কালোবাজারি বন্ধে বৈঠক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস কৃষি দফতরের আধিকারিক সৌম্যজিৎ মজুমদারের। অন্যদিকে এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা নায্যমূল্যে যাতে চাষীরা সার পায় তা সরকার ও জেলা প্রশাসন, কৃষি দফতরের খতিয়ে দেখা দরকার বলে দাবী করেছেন বিজেপি বিধায়ক গোপাল সাহা। অসাধুব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন তিনি। যদিও চাষীদের কাছ থেকে বেশিমূল্যে সার কেনার অভিযোগ পেলে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি রফিকুল হোসেন।