দক্ষিণ দিনাজপুর , ২০ আগস্ট : দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্যতম প্রাচীন সংস্কৃতি ও হস্তশিল্প হল মুখোশ শিল্প। কাঠের তৈরি এই মুখোশের খ্যাতি বা কদর রয়েছে বিদেশেও। কিন্তু দীর্ঘ লকডাউন ও করোনা অতিমারির জেরে সংকটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিখ্যাত এই মুখোশ শিল্প।
জেলার কুশমণ্ডি ব্লকের মহিষবাথান, উষাহরণ, বেরাইল, দেহাবন্দ গ্রামের শিল্পীদের নিয়ে গড়ে উঠেছে এই মুখোশ শিল্প৷ এলাকার বেকার যুবকেরাই হাতুড়ি, ছেনি দিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে দিন রাত মুখোশ তৈরি করে চলেছেন। শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় বাঁশ ও কাঠের টুকরো রুপান্তরিত হয় যায় মুখোশে। উল্লেখ্য একটা সময় গম্ভীরা গানের মুখোশ তৈরি করে সুখ্যাতি অর্জন করলেও বর্তমানে কালী,নরসিংহ ,রাক্ষস ,বাঘ,মাছ,সর্প কালী,গণেশ ইত্যাদি মুখোশের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে ফ্রিজ ম্যাগনেট, অর্থাত ফ্রিজে কিংবা দেওয়াল ও আলমারির গায়ে সহজে আটকে রাখা যায় এমন মুখোশ। তবে করোনার থাবায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মুখোশ শিল্পের বাজারও। বিদেশে মুখোশ যেমন রপ্তানী বন্ধ তেমনই এদেশে মেলাও বন্ধ রয়েছে করোনার কারণে। নেই বরাতও। ফলে মুখ ফেরাচ্ছেন শিল্পীরাও। সংসার চালাতে কেউ কেউ হাত লাগাচ্ছেন কৃষি কাজে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি মহিষ বাথান হস্তশিল্প সমিতি খুললেও শিল্পীর সংখ্যা হাতেগোনা। বরাত না থাকায় কাজ চলছে ঢিমেতালে। কিন্তু পেটের টানে তাই হাতুড়ি বাটাল দিয়ে চলছে মুখোশ তৈরির কাজ।