নিউজ ডেস্ক,৩ ফেব্রুয়ারিঃ২ রা জানুয়ারি ঘটা করে রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ” বুক ডে ” পালন করেছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর। ওই দিনই রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে খুদে পড়ুয়াদের হাতে ১০০ শতাংশ পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়ার কথা থাকলেও উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ সদর সার্কেলের চিত্রটা একেবারেই অন্যরকম। রায়গঞ্জ সদর সার্কেলের বেশকিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজও মেলেনি অনেক বিষয়ের পাঠবই। জানুয়ারি মাস শেষ হয়ে ফেব্রুয়ারী মাস শুরু হয়ে গেলেও বিভিন্ন শ্রেনীর কিছু কিছু পাঠ্যবই না মেলায় তা তুলে দেওয়া যায়নি খুদে পড়ুয়াদের হাতে। ফলে পঠনপাঠনে চরম সমস্যা দেখা দিয়েছে রায়গঞ্জ শহরের স্কুল্গুলোতে। রায়গঞ্জ বীরনগর জি এস এফ পি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্যামশ্রী ঘোষ জানিয়েছেন, প্রতি বছরই নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুতেই ২ জানুয়ারি বুক ডে তে সমস্ত পাঠ্যবই মিলে যায় এবং আমরা তা পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিই। কিন্তু এবছর জানুয়ারি মাস শেষ হয়ে গেলেও বিদ্যালয়ের কয়েকটি শ্রেনীর কিছু কিছু পাঠ্যবই না মেলায় পঠনপাঠনে চরম সমস্যা দেখা দিয়েছে।
রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুল সংলগ্ন রায়গঞ্জ জি এস এফ পি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনুপ কুমার মালাকার জানিয়েছেন, আমার বিদ্যালয়ে বহু পাঠ্যবই এখনও পাওয়া যায়নি। যে পরিমানে স্কুলে ছাত্রছাত্রী রয়েছে সেই পরিমানে পাঠ্যবই না মেলায় সব ছাত্রছাত্রীদের হাতে বই তুলে দেওয়া যায়নি। এতে পঠনপাঠনে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বইয়ের সমস্যার বিষয়টি অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে জানানো হয়েছে।
দেবযানী মুখোপাধ্যায় নামে ওই স্কুলেরই এক শিক্ষিকা জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাস শেষ হয়ে গেল এখনও সব বই আসেনি। বিশেষ বিভিন্ন বিষয়ের প্রথম ভাগই আসেনি। এদিকে মার্চ মাসে প্রথম ত্রিবার্ষিক পরীক্ষা রয়েছে। কিভাবে ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠন না করিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে!এদিকে শিক্ষাবর্ষের একমাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরে হাতে পাঠ্যপুস্তক না পাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে রায়গ্নন সদর সার্কেলের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়ারা। তারা জানিয়েছে, স্কুলে পড়ানো হচ্ছে কিন্তু বই না থাকায় সেই পড়া বাড়িতে পড়তে পারছিনা।রায়গঞ্জ সদর সার্কেলের বিদ্যালয়ের পাঠ্যবই সমস্যা নিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক দুলাল সরকার বলেন, স্কুলগুলোতে বই নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। বই বন্টন নিয়ে কিছু ত্রুটি থাকায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। যেসব স্কুলে কম পরিমানে বই লাগবে তারাও বাণ্ডিল ধরে বই নিয়ে চলে যাওয়ায় সেখানে বইগুলো উদ্বৃত্ত হয়ে গেছে। খুব শীঘ্রই সেইসব উদ্বৃত্ত বই তুলে এনে যেসব স্কুলে পাঠ্যবই কম রয়েছে সেখানে বিলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যবই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দুলাল সরকার।