আরসিটিভি সংবাদ : ভোট আসে ভোট যায়। মেলে ঝুড়ি ঝুড়ি প্রতিশ্রুতি। কিন্তু ভাঙাচোরা রাস্তার আর হাল ফেরেনা। রাস্তা নিয়ে আজও সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছেন গ্রামের মানুষেরা।
সামনেই আসছে পঞ্চায়েত ভোট তার আগে বঞ্চনার প্রতিবাদে সরব হতে শুরু করেছেন ভুক্তভোগী সাধারন মানুষ। রায়গঞ্জ ব্লকের রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আদিয়ার চৌকিদার পাড়ার উপর দিয়ে বিস্তৃত এই রাস্তা অনেকগুলো নির্বাচনের সাক্ষী। মহারাজা থেকে নাগর পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার এই গ্রামীন সড়কটি প্রায় ৭-৮ বছর থেকে বেহাল অবস্থায় পরে রয়েছে।
আরও পড়ুন – ভালোবাসার দিনে রক্তক্ষরণ
একটু একটু করে আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে রাস্তার হাল। বর্তমানে খানা খন্দে ভরপুর এই পথ। রাস্তার উপরে মুড়ি মুড়কির মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে পাথর। পীচের চাদর সে কবেই উড়ে গিয়েছে। ফলে এখন রোজ চূড়ান্ত সমস্যার শিকার এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারি কয়েকহাজার মানুষ। এই এলাকার প্রায় প্রত্যেকেই কৃষিজিবী। ফসল বাজারে নিয়ে যাওয়ার আগে রাস্তার কথা ভেবে মুষড়ে পরেন কৃষকরা। ভ্যানরিক্সা ঠেলে নিয়ে যেতে হয়। চাকা পামচার নিত্য দিনের রুটিন। ভোগান্তির শিকার ছাত্রছাত্রীরা।
আরও পড়ুন – জঙ্গলের মধ্যেই কোচ রাজাদের কুঠী !
গ্রামে ঢুকতে চায়না টোটো অটো। ফলে অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে চরম বেগ পেতে হয় তাদের। এমনি সময় যেমন তেমন বর্ষাকালে এই রাস্তা নরক যন্ত্রনার সমার্থক হয়ে দাঁড়ায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ একাধিকবার পঞ্চায়েত কিংবা প্রশাসনকে জানানোর পরেও এখনও ঘুম ভাঙেনি তাদের।
শুধু ভোট এলে মিষ্টিমুখের প্রতিশ্রুতি আসে। কিন্তু তারপর যেকাজ সেই। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবীতে সরব হয়েছেন সকলেই। অন্যদিকে রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপন কর্মকার জানান, এই রাস্তাটি জেলাপরিষদের অধীনে। ইতিমধ্যেই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে। আবার প্রতিশ্রুতি! আদৌ কি প্রধানের এই আশ্বাসের বাস্তবায়ন হবে? প্রশ্ন রয়েই যায়।