নিজস্ব সংবাদদাতা , হরিশ্চন্দ্রপুর , ১৮ ডিসেম্বর : বঙ্গ রাজনীতির সাথে সরগরম মালদা জেলার রাজনীতি। শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফার পরেই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে মালদা জেলা তৃণমূলে। দলত্যাগ করেছেন একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য এবং বিভিন্ন অঞ্চলের নেতারা।
বৃ্হস্পতিবার দল থেকে পদত্যাগ করেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দলনেতা তথা তৃণমূল নেতা দ্রোণাচার্য ব্যানার্জি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মানিক দাসের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছাড়েন দ্রোণাচার্য ব্যানার্জি।তিনি অভিযোগ করেন দলে স্বৈরতন্ত্র চালাচ্ছেন ব্লক সভাপতি। সভাপতির সঙ্গে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।এই কারণেই তিনি দল ছাড়লেন বলে অভিযোগ করেন দ্রোণাচার্য ব্যানার্জি।এরপরেই এদিন দলত্যাগী নেতাকে দলে ফেরাতে তার বাড়িতে যায় পিকের টীম।সঙ্গে ছিলেন মালদা জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি বিকাশ ব্যানার্জি, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জিয়াউর রহমান,তৃণমূল নেতা জম্মু রহমান সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। তার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করে প্রশান্ত কিশোরের টীম। বৈঠক শেষে দলত্যাগী তৃণমূল নেতা দ্রোণাচার্য ব্যানার্জি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। দ্রোণাচার্য ব্যানার্জি বলেন, আজ সকলে বাড়িতে এসেছিলেন।সংগঠন সহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্লক সভাপতিকে নিয়ে সমস্যা সেটাই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি। তাকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে সেটাও জানান তিনি।
যদিও তিনি আবার দলে ফিরবেন কী না সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়ে গেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের রাজনৈতিক মহলে।তবে ইস্তফা ঘোষণা করার পরের দিনেই দলীয় নেতৃত্বের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।