নিউজ ডেস্ক , ২৯ ডিসেম্বর : ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে চিনকে ফের বড়সড় ধাক্কা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।কয়েকদিন আগেই মার্কিন কংগ্রেস তিব্বত নীতি সহায়ক আইন পাশ করেছিল। সোমবার সেই বিলে স্বাক্ষর করেই ‘টিবেটান পলিসি অ্যান্ড সাপোর্ট অ্যাক্ট’ আইনে পরিণত করেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এর ফলে পরবর্তী দালাই লামা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে চিন বা অন্য কোনও দেশের সম্মতির দরকার হবে না তিব্বতীদের। নিজেদের পছন্দ মত ধর্মগুরু বেছে নিতে পারবেন তাঁরা। সেই ১৯৫৯ সালে চিন থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন ১৪ তম দালাই লামা। তারপর থেকে ধর্মশালায় থাকেন তিনি।
কিন্তু তাঁকে নিয়ে ভারত-চিন দ্বন্দ্ব নতুন নয়। এবার এই রাস্তায় চিনের নতুন কাঁটা আমেরিকায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন থেকেই তিব্বতের বড় এলাকা জবরদখল করে রেখেছে চিন। চিনের হাত থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে এর আগে বিপ্লবের রাস্তাতেও হেঁটেছে দলাই লামা। কিন্তু চিনা আগ্রাসনের মুখে তাঁর বাহিনী দিশেহারা হয়ে পড়লে ১৯৯৫ সালের পর থেকে তিনি ভারতেই রয়েছে। যদিও তারপর থেকে হাজারও চেষ্টা করেও তিব্বতিতে মুক্তি আন্দোলনে ছেদ ফেলতে পারেনি চিন। ভারতে কমপক্ষে এক লক্ষ তিব্বতি রয়েছেন। ইউরোপ এবং আমেরিকাতেও রয়েছেন কিছু মানুষ। এই আইনে বলা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে চিনা দূতাবাস বাড়াতে গেলে সবার আগে তিব্বতের রাজধানী লাসায় মার্কিন দূতাবাস তৈরির ছাড়পত্র দিতে হবে চিনকে। দালাই লামা বাছার ক্ষেত্রে তৃতীয় দেশের মতামত গুরুত্বহীন। তিব্বতের মানুষের জন্য কয়েক মিলিয়ন ডলার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। মেধাবী তিব্বতি ছাত্রছাত্রীরা স্কলারশিপ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পড়তে যেতে পারবেন। আমেরিকার এই পদক্ষেপে রেগে লাল চিন।