নিউজ ডেস্ক, ১৪ মার্চ : পেটের ভেতর ৫-৫ টি সূচ ঢুকে মরণাপন্ন অবস্থা হাওড়া শিবপুরের এক কিশোরীর। কিভাবে তার পেটে এই সূচগুলো ঢুকলো তা নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য।
এই পরিস্থিতিতে জটিল অপারেশন করে ওই কিশোরীর প্রাণ বাঁচালো বেসরকারি হাসপাতালের একদল চিকিৎসক। জানা গেছে হাওড়ার শিবপুরের পিএম বস্তির বাসিন্দা ওই কিশোরীর নাম রোশনি খাতুন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেক আগে একজনের বাড়িতে গিয়ে খাবারের সঙ্গে ৫টি সূচ খেয়ে ফেলে রোশনি। তীব্র অস্বস্তি ও যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় বমি করলে বেরিয়ে আসে দু’টি। কিন্তু খাবারের সঙ্গে আরও ৩টি সূচ যে পেটে চলে গিয়েছে, তা টের পায়নি সে। এর পর এক সপ্তাহ আগে থেকে শুরু হয় তার রক্ত বমি। তড়িঘড়ি করে বাড়ির লোকেরা শিবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক সিরাজ আহমেদকে দেখান তাকে। এক্সরে এবং এন্ডোস্কপি করে চিকিৎসকরা জানতে পারেন, একটি কিডনিতে, একটি গলার নলি এবং তৃতীয় সূচটি রোশনির স্পাইনাল কর্ডে আটকে রয়েছে। এর পরেই চিকিৎসক সিরাজ আহমেদের নেতৃত্বে ৪ জন চিকিৎসকের একটি দল তৈরি করে অস্ত্রোপচার হয় কিশোরীর। সফল অস্ত্রোপচারে সব কটি সূচই বের করে আনা হয়। ডক্টর আহমেদ বলেন, কিডনিতে আটকে থাকা সূচটি বের করতে খুবই ঝুঁকি নিতে হয়। এটা সফল না হলে ইনফেকশন বেড়ে গিয়ে আরও জটিল আকার নিত।’’ কিন্তু খাবারের মধ্যে সূচ এল কোথা থেকে এনিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। পেশায় সব্জি বিক্রেতা রোশনির বাবা আফতাব আলি বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আমরা পুলিশের দ্বারস্থ হব। তবে রোশনি নতুন করে জীবন ফিরে পাওয়ায় আমরা সবাই খুশি। চিকিৎসকদের অসংখ্য ধন্যবাদ।