নিউজ ডেস্ক , ০৩ নভেম্বর : সবেমাত্র একটু চোখটা লেগেছে, আচমকাই একটা ঝাঁকুনি! মনে হচ্ছে কোথাও পড়ে যাচ্ছেন। এটা কেবলমাত্র আপনার সমস্যা নয়, শরীরের এই ঝাঁকুনির অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন বিশ্বের অন্তত ৬০-৭০ শতাংশ মানুষ। ঘুমের মধ্যে এমন ঝাঁকুনিকে বলা হয় “হিপনিক জার্কস”।
অনিয়মিত শিডিউলে ঘুমোয়, এমন ব্যক্তিদের মধ্যে হিপনিক জার্ক অধিকহারে ঘটতে দেখা যায়। জেগে থাকা অবস্থা থেকে সবে ঘুমোতে যাওয়ার অবস্থার মধ্যে “হিপনিক জার্কস” ঘটে থাকে। এই সময় মানুষ পুরোপুরি ঘুমের মধ্যে থাকে না। বরং বলা যায়, সে তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকে। এই অবস্থাতেই স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে জাগরণ ও স্বপ্নের সীমানাকে অনেক সময়েই মস্তিষ্ক ঠাহর করতে পারে না। ফলে তার ধাক্কা এসে লাগে শরীরে। এ থেকেই তৈরি হয় “হিপনিক জার্কস”। শরীরে তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব নেমে এলে মাস্ল এবং পেশীগুলো আস্তে আস্তে অবশ হতে থাকে। কিন্তু, মস্তিস্ক শরীরে পেশীর এই অবস্থান ঠাহর করতে না পেরে সেই প্রক্রিয়া আটকানোর চেষ্টা করে, ফলে শরীরে ঝাঁকুনি হয়। নিকোটিন বা ক্যাফিন জাতীয় উদ্দীপক গ্রহণ কমিয়ে দেওয়া, ঘুমানোর আগে শারীরিক পরিশ্রম এড়ানো এবং পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করে হিপনিক জার্ক হ্রাস করা যায়। যদিও কিছু মানুষ একে শারীরিক সমস্যা ভেবে ভয় পান। তবে চিকিৎসকদের মতে এতে ভয় পাওয়ার মতো কিছু নেই। অনেক সময়ে নাক ডাকা থেকেও “হিপনিক জার্কস” ঘটে থাকে। স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনাপ্রবাহ ঠিকমতো ঠাহর করতে না পারায় এক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে শরীরে ঝাঁকুনি হয়। কিছু ওষুধ হিপনিক জার্ক হ্রাস করতে বা দূর করতে সহায়তা করতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।