নিউজ ডেস্ক , ১১ জানুয়ারী ২০২৩ : খসে পরছে ছাদের চাঙড়, দেওয়ালের পলেস্তারা ভেঙে পরছে শ্রেনীকক্ষেই। প্রতিটি কক্ষেই ধরে ফাটল। সিমেন্ট পলেস্তারা উঠে গিয়ে ছাদের সিলিংয়ের লোহার খাঁচা বেড়িয়ে এসেছে।
এমনই বেহাল জরাজীর্ণ দশা রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুরে অবস্থিত প্রায় পঞ্চাশ বছরের পুরোনো চারুবালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। যেকোনও মুহুর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বিদ্যালয়ে। ক্লাস চলাকালীন আতঙ্কে থাকেন খুদে পড়ুয়া থেকে তাদের অভিভাবক অভিভাবিকারা। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় চারুবালা ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও। পাঠদান চলাকালীন কিংবা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার সময় ছাদের চাঙড় কিংবা দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পরে আহত হতে পারে খুদে পড়ুয়ারা। আলপনা মন্ডল নামে এক অভিভাবিকা বলেন, আমার দুই ছেলেমেয়েই এই স্কুলে পড়াশুনা করে।
স্কুল বিল্ডিংয়ের যা করুন অবস্থা যেকোনও সময় ছেলেমেয়েদের মাথার উপর ভেঙে পরতে পারে ছাদের চাঙড় কিংবা দেওয়ালের পলেস্তারা। আমরা ছেলেমেয়েদের এই স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কেই থাকি। আমরা চাই দ্রুত বিদ্যালয়ের মেরামত করা হোক। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্নেহাশিস সিনহা বলেন, খুবই পুরোনো এই স্কুলের জরাজীর্ণ দশা হয়ে আছে। অভিভাবক অভিভাবিকারা সবসময়ই তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন। স্কুল বিল্ডিং মেরামত করার মতো আর্থিক সঙ্গতি বিদ্যালয়ের নেই। স্কুলের এ-ই সমস্যার বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক দুলাল চন্দ্র সরকার বলেন, চারুবালা স্কুলের অবস্থার কথা তিনি জানেন। খুব দ্রুত জেলা বিদ্যালয় সংসদের ইঞ্জিনিয়ার পাঠানো হবে ওই স্কুলে। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।