নিউজ ডেস্ক, ০৩ ডিসেম্বর : চলে গেলেন এম ডি এইচ মশলার রাজা ধর্মপাল গুলাটি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ধর্মপাল গুলাটি। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ অন্যান্য বিশিষ্ট রাজনীতিবিদরা।
সামান্য একটি ছোট্ট দোকান খুলে দীর্ঘ পথ পার করে এম ডি এইচ মশলাকে ব্র্যান্ডে পরিণত করেছিলেন সুদক্ষ এই ব্যবসায়ী। শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও এম ডি এইচ মশলার যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে। ১৯২০ সালে পাকিস্তানের শিয়ালকোটে জন্ম এমডিএইচ গ্রুপের চেয়ারম্যান তথা দাদাজি ধর্মপাল গুলাটির। দুঃস্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও ব্যবসায় যথেষ্ট দক্ষতা ছিল তাঁর পরিবারের। ধরমপালের বাবা চুনিলাল গুলাটির মশলা, বস্ত্র, হার্ডওয়্যার সহ একাধিক ব্যবসা ছিল। বাবার সাথে থেকে ব্যবসায় হাত পাকান ধর্মপাল গুলাটিও। তবে দেশ ভাগ হওয়ার পরে পাকিস্তান ছেড়ে তাঁরা চলে আসেন দিল্লিতে। দিল্লির কারোলবাগে একটি মশলার দোকান খুলেছিলেন ধর্মপাল। ক্রমেই মশলার সুনাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশজুড়ে। ব্যবসায় শ্রীবৃদ্ধির কারণে একাধিক কারখানা গড়ে উঠতে থাকে। মশলার প্যাকেটজাত করা থেকে শুরু করে বিপণন ব্যবস্থা সহ সমস্ত কিছু নিজে হাতে তদারকি করতেন ধর্মপাল। গোটা দেশে প্রচুর কারখানা এবং অসংখ্য ডিলার রয়েছে। দেশের বাইরে দুবাই এবং লন্ডনেও অফিস রয়েছে এমডিএইচ-এর। সংস্থা চালানোর দায়িত্বভার আপাতত ছেলেত হাতেই রয়েছে। সামান্য একটি দোকান থেকে বর্তমান এমডিএইচকে একটি নামী ব্র্যান্ডে পরিণত করতে পেরেছিলেন ধর্মপাল গুলাটি। বর্তমানে এম ডি এইচ কোম্পানির সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। ভারতের অন্যতম নামজাদা এই ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেছেন ভারতের একজন নামী ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো৷ অন্যদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন৷ ব্যবসার পাশাপাশি সমাজসেবাতেও যথেষ্ট খ্যাতি ছিল ধর্মপাল গুলাটির। শিক্ষার প্রসারে একাধিক স্কুল গড়েছেন তিনি। দুঃস্থ মানুষদের সাহায্যার্থে সব সময় এগিয়ে আসছেন তিনি। জীবনে পেয়েছেন প্রচুর সম্মান ও উপহার। কিছুদিন আগে পদ্মভূষণ পুরষ্কারে তাঁকে ভূষিত করেন রাষ্ট্রপতি৷