অপরাজিতা জোয়ারদার , রায়গঞ্জ ১৫ সেপ্টেম্বর : বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজায় অন্যতম উপাচার পদ্মফুল। অষ্টমীর দিন পদ্মফুল ছাড়া দেবী আরাধনার কথা ভাবাই যায় না। শরতকালের আগমনী বার্তার সাথে সাথেই রায়গঞ্জের বিভিন্ন গ্রামের পুকুড় ভরে উঠেছে পদ্মের কুঁড়িতে। কিন্তু এবারে মন ভালো নেই ফুল চাষীদের। করোনা সংক্রমণের কারনে এখনো পর্যন্ত পুজো উদ্যোক্তারা যোগাযোগ করেনি চাষীদের সঙ্গে।
ফলে পুজোর আগে আশংকিত রায়গঞ্জ ব্লকের পদ্মচাষীরা। রায়গঞ্জ ব্লকের ৫ নং শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পটলগ্রামের ধোদরা বিলে প্রতিবছরের মতো এবছরেও প্রচুর পদ্মের কুঁড়ি এসেছে। অন্যান্যবার বিশ্বকর্মা পূজার আগে থেকেই দুর্গাপুজো কমিটির সদস্যরা গ্রামে এসে ফুলের জন্য অগ্রিম অর্থ দিয়ে যান চাষীদের। কিন্তু করোনা সংক্রমনের আবহে এবছর এখনো পর্যন্ত কেউ যোগাযোগ করে নি এই ফুল চাষীদের সঙ্গে। ফলে মনখারাপ তাদের। ফুলচাষী রবি বর্মন বলেন,” পুজোর আগে পদ্মফুলের জন্য বহু লোক গ্রামে আসেন। এই সময়টা ফুল বিক্রি করে বাড়তি কিছু পয়সা হাতে আসে।
কিন্তু করোনা সংক্রমনের কারনে পুজো নিয়েই দোলাচলে রয়েছেন পুজোউদ্যোক্তারা। এখনো ফুলের অর্ডার পাই নি।” ননীগোপাল বর্মন নামে অপর ফুলচাষী বলেন,” লকডাইনের কারনে মানুষের হাতে অর্থ নেই। গ্রামের পুজোগুলিও খুব ছোটো করে হচ্ছে। ফলে এখনো পর্যন্ত পদ্মফুলের চাহিদা নেই। হাতে এখনো সময় আছে কিছুটা। ভাগ্য সহায় হলে ফুলের অর্ডার পাবো।