নিউজ ডেস্ক , ০২ ডিসেম্বর : কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নতুন কৃষি বিল বাতিলের দাবিতে কৃষক বিক্ষোভের উত্তাল দিল্লি সীমান্ত। ধীরে ধীরে প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশেই৷ ফলে চাপ বাড়ছে কেন্দ্রের ওপর। ইতিমধ্যেই কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করলেও কোন সমাধান সূত্র বের হয়নি। ফলে আন্দোলন অব্যাহত কৃষকদের।
কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে প্রথম প্রতিবাদ আসে পাঞ্জাব-হরিয়ানা রাজ্য থেকেই। গত সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্রের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন অকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কউর বাদল৷ বেরিয়ে আসেন এন ডি এ জোট থেকে। তারপর এই কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ধীরে ধীরে গোটা দেশেই ক্ষোভ-বিক্ষোভ তৈরি হয় কৃষকদের মধ্যে। সম্পতি এই কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি অভিযান শুরু করেন পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাজার হাজার কৃষক। দিল্লির অভিমুখে রওনা হলেও তাঁদের সীমান্তে আটকে যায় দিল্লি পুলিশ৷ সেখানেই কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। ডিসেম্বর মাসের তীব্র ঠান্ডার মধ্যেও দিন রাত আন্দোলনে সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা৷ কৃষকদের আন্দোলন দমন করতে প্রচুর পরিমাণে নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে কিন্তু ধীরে ধীরে সেই কৃষক আন্দোলনের প্রভাব গোটা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। কৃষকদের সমর্থনে ইতিমধ্যেই এগিয়ে এসেছেন বিশিষ্টব্যক্তিরা। সাধারণ মানুষের বক্তব্য,”কৃষকরা যখন স্বয়ং নিজেরাই এই আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন, এই আইনের বিরোধিতা করছেন, তখন কেন্দ্রীয় সরকার কোন যুক্তিতে এই আইন দেশে বলবৎ রাখতে চায়? এখানেই বোঝা যায় যে পুঁজিপতিদের স্বার্থে এই আইন কার্যকর করা হয়েছে। তা না হলে কেন কেন্দ্র এই আইন বাতিল করছে না? কৃষকদের এই আন্দোলন ঘিরে ক্রমশ চাপে পড়ে যাচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ইতিমধ্যেই কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্র আলোচনা করলেও কোন সমাধান সূত্র বের হয় নি। ফলে কৃষক আন্দোলন অব্যাহত দিল্লিতে। এই পরিস্থিতিতে আগামীতে জল কোন দিকে গড়ায় সেই দিকে নজর রাখছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ।