নিউজ ডেস্ক , ০৪ নভেম্বর : আলোক-ফুলমালায় সাজানো হয়েছে ঘরদোর। সুগন্ধী ছড়ানো হয়েছে বাড়ির আনাচে-কানাচে। মূলত এও একধরনের উৎসব পালন। তবে এই আচার অনুষ্ঠান পালিত হয় মৃত পূর্বপুরুষের স্মরণে। প্রিয়জনদের ছেড়ে যারা স্বর্গলোকে পাড়ি দিয়েছে, তাদের একটি রাতের জন্য ফের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য মেক্সিকো জুড়ে আয়োজিত হয় এই অনুষ্ঠান।
তাদের স্মরণে বাড়িঘর সাজানো হয় আলো ও ফুলমালায়, ছড়ানো আতর। আলো ও সুগন্ধীর আকর্ষণে প্রিয়জনের কাছে ফিরে আসে মৃতেরা। এযেন অনেকটা আমাদের বাংলায় কার্তিক মাসে আকাশপ্রদীপ জ্বালানোর মত।কথায় বলে, মহালয়ার অমাবস্যা তিথিতে পূর্বপুরুষের আত্মারা প্রেতলোক থেকে মর্ত্যলোকে ফিরে আসে প্রিয়জনদের কাছে। তাদের প্রেতলোকের পথ দেখিয়ে দিতে গৃহস্থের বাড়িতে প্রজ্জ্বলিত হয় আকাশ প্রদীপ। এই প্রদীপের আলোয় পথ চিনে নিজস্থানে ফিরে যায় প্রিয়জনদের আত্মা। পাশ্চাত্য সভ্যতায় এই আঙ্গিকে পালিত হয় হ্যালোউইন উৎসব। তবে এবছর যেন সবদিক থেকে আলাদা অন্যবছরগুলির তুলনায়। গত ২রা নভেম্বর মেক্সিকোয় পালিত এই অনুষ্ঠান এবারে সম্পূর্ণ অন্য আঙ্গিকে উদযাপিত হয়েছে।উৎসব হয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকে নিজের বাড়ির ঘেরাটোপে পালন করেছে এই অনুষ্ঠান। করোনা ভাইরাসের কারণে হয়নি কোন সামাজিক জমায়েত। এই গৃহবন্দী হয়ে উৎসব পালনে একাকীত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিল স্বজন হারানোর বেদনাও।সারা দেশের সঙ্গে এই অনুষ্ঠান পালিত হয় মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট হাউসেও। এবছর করোনা আবহে ফুল ও সুগন্ধীর সঙ্গে প্রিয়জনদের জন্য রাখা হয় মাস্কও। প্রতীকি হলেও করোনাযুদ্ধে স্বজন হারানোদের সমবেদনা জানাতে ও করোনাযুদ্ধে একজোট লড়াই করার আহ্বান জানানো হয় এর মাধ্যমে।