নিউজ ডেস্ক , ২১ নভেম্বর : মানুষের সৌন্দর্যের অনেকটাই নির্ভর করে তার মাথার চুলের ওপরে।কিন্ত বর্তমান লাইফস্টাইলে যত্নের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয় চুল। বছরের অন্যান্য সময় যেটুকুও যত্ন হয়, শীতকালে তা আরো কমে যায়।ফলত চুলে দেখা যায় খুশকির সমস্যা। যা চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এক বড় সমস্যা।
শীতকাল শুধুমাত্র নয়, মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে মোটামুটি সারা বছর খুশকির সমস্যায় ভোগেন এমন লোকের সংখ্যা নেহাত কম নয়।
খুশকির সমস্যার ঠেকাতে সময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে অকালেই চুল ঝরে গিয়ে ‘গড়ের মাঠ’ হয়ে যেতে পারে।তবে বাজারচলতি কেমিক্যাল মিশ্রিত শ্যাম্পু বা তেলের পরিবর্তে বেশ কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে খুশকির সমস্যা সহজেই দূর হবে।
) মেথি: ২-৩ চামচ মেথি সারারাত জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে জল ছেঁকে নিয়ে ভাল করে বেটে নিন। তবে ছেঁকে নেওয়া জলটিও রেখে দেবেন। এ বার মেথি বাটা চুলের গোঁড়ায় স্ক্যাল্পে ভাল করে লাগিয়ে ঘণ্টা খানেক রেখে দিন। এর পর শুকিয়ে গেলে চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার পর মেথি ভেজানো জলে আরও একবার চুল ধুয়ে নিন। এই পদ্ধতি সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করলে দ্রুত দূর হবে খুশকির সমস্যা ।
) রিঠা: খুশকির সমস্যা দূর করতেও অত্যন্ত কার্যকর রিঠা। রিঠা পাউডার বা রিঠা সিদ্ধের জল দিয়ে চুল ভিজিয়ে ঘণ্টা খানেক মত রেখে দিন। চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালমতো রিঠার জল লাগাতে হবে। ঘণ্টা খানেক পর চুল ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে সপ্তাহে ২-৩ বার রিঠা ভেজানো জল মাথায় মাখলে খুশকির সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ হবে।
) টকদই: এই সমস্যা সমাধানে টকদইও অত্যন্ত কার্যকরী। স্ক্যাল্পে টকদই দিয়ে ভালভাবে মালিশ করে মিনিট দশেক রেখে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু’বার এই ভাবে চুলে টকদই ব্যবহার করুন। উপকার পাবেন।
) পেঁয়াজের রস: ২ পেঁয়াজ ভাল করে বেটে ১ মগ জলে মিশিয়ে নিয়ে মাথায় লাগিয়ে ভাল করে মালিশ করুন। কিছু ক্ষণ পর উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার এই মিশ্রণ ব্যবহার করুন।
)নারকেল তেল: চুলের যেকোন সমস্যায় উপকারী নারকেল তেল। চুলের গোড়ার আদ্রতা বজায় রেখে খুশকি এবং ‘স্ক্যাল্প ইনফেকশন’-এর আশঙ্কাও অনেকটাই কমিয়ে দেয়। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার চুলের গোড়ায় সামান্য ঈষদুষ্ণ নারকেল তেলের মালিশ করলে ফল মিলবে।
) লেবুর রস: ২ চামচ লেবুর রস সামান্য জলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালভাবে মালিশ করতে হবে। মিনিট পাঁচেক মালিশ করার পর চুল ধুয়ে নিতে হবে। খুশকির সমস্যা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে অন্তত ২ বার ব্যবহার করতে হবে।