নিউজ ডেস্ক , ২০ অক্টোবর : আধুনিক নাগরিক জীবনের স্বাচ্ছন্দ্যেবৃদ্ধিতে ক্রমশই হ্রাস ঘটছে সবুজের। ফলে উন্নয়ন নাকি পরিবেশে ভারসাম্য রক্ষা এই দুইয়ের দ্বন্দ্বে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিশ্বজুড়ে। বনভূমি রক্ষা করেই উন্নয়নমূলক কর্মসুচীতে সায় দিয়েছে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ।
বনভূমি রক্ষার ক্ষেত্রে নাগরিক জীবনে অভ্যস্তদের তুলনায় সর্বদাই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে গ্রামীন এলাকার বাসিন্দারা। যদিও বর্তমান সময়ে বহু শহুরে এলাকাতে সবুজ রক্ষায় এগিয়ে এসেছে বাসিন্দারা। তেমনি এক ছবি দেখা গেল উত্তরাখন্ডের দেরাদুনে। শহরে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির জন্য কেটে ফেলতে হবে প্রায় ১০হাজার গাছ। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমীরা। তাদের লড়াইয়ে পাশে দাড়িয়েছেন শহুরে মানুষদেরও।
মূলত উত্তরাখন্ডে চীন ভারত সীমান্ত থেকে খুব একটা দূরে নয় দেরাদুন বিমানবন্দর। সাম্প্রতিক ভারত-চীন পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে সেই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রস্তাবে সহমত পোষণ করে রাজ্যও। প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ২৪৩ একর বনভূমি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলে রাজ্য সরকার। এতেই ক্ষোভের সঞ্চার হয় পরিবেশপ্রেমী ও স্থানীয়দের মধ্যে।কারণ এই বনভূমিতে রয়েছে নানান প্রজাতির জীবজন্তুর বসবাস। বিমানবন্দর তৈরি হলে উচ্ছেদ হতে হবে এখানকার বন্যপ্রাণদের।আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গুরুত্বকে অস্বীকার না করেই পরিবেশকর্মীদের আন্দোলনে তাদের পাশে দাড়িয়েছে নাগরিক সমাজও।
কারণ প্রকৃতিকে ধ্বংস করার ভয়াল ছবি দেখা গিয়েছে বহুবার। আমাজনের ভয়াবহ আগুন কিংবা অষ্ট্রেলীয় বনভূমিতে দাবানল মানবসমাজের দ্বারা প্রকৃতি ধ্বংসের ভয়াল বার্তাই যেন বহন করে আনে। ফলে উন্নয়নের গতি স্তব্ধ না করে সবুজের সুরক্ষার প্রয়োজনীয় কর্মপন্থা ঠিক করার দায় শুধু বিশেষজ্ঞ, পরিবেশপ্রেমী নয় আমাদের সকলের।