নিউজ ডেস্ক , ৩০ নভেম্বর : ফের দাদাগিরি চিনের! প্রতিবেশী রাষ্ট্রর আপত্তিকে উড়িয়ে দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর বিশাল বড় বাঁধ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে চীন। এই ঘটনায় ভারত এবং বাংলাদেশ দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে জলের অভাব দেখা দিতে পারে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহলে বিশেষজ্ঞরা। কারণ যে বাঁধ নির্মাণ করা হবে সেটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই।
ভারত এবং বাংলাদেশের আপত্তিকে মান্যতা না দিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ব্রহ্মপুত্র নদীর উপর বিশাল বড় বাঁধ তৈরি করছে চীন। জানা গেছে চিনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসে নদীর উপর বাঁধ দেওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। ২০২১–২৫ সাল পর্যন্ত ১৪ তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অধীনে এই বাঁধটি তৈরি করা হবে। চিনের অধীনে থাকা তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র নদীর নাম ইয়ারলাং জ্যাংবো নদী। এই নদী অরুণাচল প্রদেশের ঢুকে নাম হয়েছে সিয়াং। আসামে গিয়ে নাম হয়েছে ব্রক্ষ্মপুত্র নদ৷ নদীর ওপর এর আগে একাধিকবার বাঁধ দেওয়া হয়েছে কিন্তু সেগুলো সবই ছিল ছোট আকারের। এবারে সব থেকে বড় বাঁধ তৈরি করে জল সংকট তৈরী করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ ভারত ও বাংলাদেশের। পাশাপাশি এই বাঁধ নির্মাণ নিয়ে আগে থেকেই তৈরি করা ছিল পরিকল্পনা৷ চিনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ইয়্যান ঝিয়াং জানিয়েছেন, চিনের জলবিদ্যুৎ শিল্পে এ এক ঐতিহাসিক সময়। এটি নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও পরিবেশ সংরক্ষণ, জাতীয় নিরাপত্তা, জীবনযাপনের মানোন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার লক্ষ্যেই এই প্রকল্প গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ এই প্রকল্প বছরে ৬০০ কোটি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। যার মধ্যে ৩০০ কোটি কিলোওয়াট কার্বনমুক্ত ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য বিদ্যুৎও উৎপাদিত হবে। চিনের এই জল আটকানোর অপচেষ্টার জেরে ক্ষতির মুখে পড়বে ভারত ও বাংলাদেশ৷