আর সি টিভি সংবাদ , ৩ মার্চ : সতিই অত্যন্ত অমানবিক! অবলা জীব। তাদেরও কষ্ট হয়, যন্ত্রনা হয়। বুক ফাটে তবু মুখ ফোটে না। আর এমন প্রানীদের সাথেই এ ধরনের আচরন একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত নিন্দনীয়। আর এবারে সেই নিন্দার ঝড় উঠল রায়গঞ্জ শহরজুরে।
রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর বাজারে রোজই বিকিকিনি শেষে পেটের টানে আগমন ঘটে ষাঁড় গরুদের। ফেলে দেওয়া সবজি খেয়ে পরিতৃপ্ত হয় তারা। শুক্রবার বিকেলের দিকে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নজর যায় একটি ষাঁড়ের দিকে। দেখা যায় তার অন্ডকোষ মজবুত করে দড়ি দিয়ে বাঁধা। এখানেই শেষ নয়। মাথার উপর সিং দুটিকেও বেশ শক্ত পোক্ত করে লাইলনের রশি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ
এর জেরে খুব অস্বস্তির মধ্যে চলা ফেরা করছে ষাঁড়টি। এমন দৃশ্য দেখে হতবাক সকলেই। পথচারীরা থমকে দাঁড়িয়ে পরেন। সকলেই সহায়তার চেষ্টা করলেও। কাছে যাওয়ার সাহস হয়নি। চোখের সামনে এমন ভাবে ষাঁড়টিকে কষ্ট পেতে দেখে স্থানীয়রা ফোন করেন প্রশাসন, কাউন্সিলর, বন বিভাগ ও পশুপ্রেমী সংস্থার কর্মকর্তাদের।
ঘর থেকে মা ও দুই সন্তানে দেহ উদ্ধার
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উত্তর দিনাজপুর পিপলস পর এনিম্যালসের সম্পাদক গৌতম তান্তিয়া সহ সংস্থার সদস্যরা। দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় অবশেষে উদ্দেশ্য সফল হয়। এ ধরনের ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গৌতম বাবু। প্রসঙ্গতঃ পশুদের উপরে কোনো প্রকার নির্যাতন করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শাস্তির বিধানও রয়েছে। কিন্তু তারপরেও এমন অসচেতনতার ছবি। কবে সচেতন হবে মানুষ? প্রশ্ন রয়েই যায়।