নিউজ ডেস্ক , ০৭ মে : এ যেন গোদের ওপর বিষফোড়া। এমনিতেই দ্বিতীয় দফায় করোনার নতুন নতুন মিউটেশন রাতের ঘুম কেড়েছে দেশবাসীর। তার ওপরে এবার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ছত্রাকের সংক্রমণ। দিল্লির শ্রী গঙ্গারাম হাসপাতালে ৬ জন করোনা রোগীর শরীরে এই ছত্রাক ঘটিত রোগ দেখা দিয়েছে। এই ছত্রাক সাধারণত শরীরে শ্লেষ্মার বা মিউকাস তৈরি করে।
চিকিৎসকমহলের মতে, কোভিড-১৯-র এক ভয়াবহ দান হল এই মিউকর্মাইসিস। ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ বা কালো ছত্রাক নামে পরিচিত এই মারণ ছত্রাক হয়ে দাঁড়াচ্ছে করোনার এক দোসর। এহেন ছত্রাক সংক্রমণে লাগামহীনভাবে শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা। পাশাপাশি ট্রান্সপ্লান্ট, আইসিইউ সহ দুর্বল রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতার রোগীদের ক্ষেত্রে প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।ঠিক কী এই মিউকরমাইসিসিস? জানা যাচ্ছে কালো ছত্রাক নামে পরিচিত এই ছত্রাকটি বাসা বাঁধছে করোনা রোগীদের ফুসফুসে। এর আগেও অবশ্য বহু রোগীর প্রাণ কেড়েছে এই ছত্রাক। ফুসফুস প্রতিস্থাপন কিংবা আইসিইউয়ে থাকা রোগীর ক্ষেত্রে ঘাতকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাকে। করোনা পর্বে সে নতুন করে বিপদ বাড়াচ্ছে।
হাসপাতালের ইএনটি সার্জন ডঃ মণীষ মুঞ্জল এই বিষয়ে বলেন, আমরা নতুন করে এই সংক্রমণ দেখতে পাচ্ছি। গত বছরও এই মারাত্মক সংক্রমণের জেরে অনেক রোগী প্রাণ হারিয়েছিলেন। এর জেরে চোয়াল, নাক শরীর থেকে সরাতে হতে পারে। রোগী দৃষ্টি শক্তি হারাতে পারেন। অনেক কোভিড আক্রান্ত রোগীর ডায়াবেটিস থাকায়, তাঁদের শরীরে স্টেরয়েড প্রয়োগ করাতে হচ্ছে। এই অবস্থায় ছত্রাকের সংক্রমণ বাড়ছে। তাঁর কথায় করোনা থেকে সুস্থ হওয়া কোনও রোগীর যদি কোমর্বিডিটি থাকে, অর্থাৎ তাঁদের ডায়াবেটিস, কিডনি কিনবা হার্টের সমস্যা থাকে, ক্যান্সার প্রভৃতি সমস্যা থাকে তাঁদেরও এই ছত্রাক দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা বেশি।এই ছত্রাকের সংক্রমণের উপসর্গগুলি হল- নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, চোখে যন্ত্রণা, নাকে কালো দাগ ৷ উপরিউক্ত লক্ষনগুলির মধ্যে কোনও একটি দেখা দিলে বায়োপ্সি করিয়ে অ্যান্টিফাঙ্গাল থেরাপি শুরু করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।