নিউজ ডেস্ক, ১৮ অক্টোবর : লক্ষ্য রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা ভোট। আর তাই পুজোকে হাতিয়ার করে জনসংযোগের পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক শক্তি যাচাই করতে সোমবার রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে. পি নাড্ডা।
বিজেপি সূত্রে জানা গেছে সোমবার ১৯ অক্টোবর দুপুর ১২ টা ১০ নাগাদ শিলিগুড়ির আনন্দময়ী কালীবাড়িতে গিয়ে পুজো দেবেন তিনি। পুজো শেষে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হোটেলে বৈঠক করবেন। সেই সঙ্গে সমাজ সংস্কারক পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান করে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবেন বিজেপির সর্বভারতীয় এই নেতা। এই বৈঠকগুলিতে সাংবাদিকরা প্রবেশ করতে পারবেন না। পরিবর্তে বিজেপির মিডিয়া বিভাগের পক্ষ থেকে লাইভ ফিড সরবরাহ করা হবে সাংবাদিকদের। উল্লেখ্য এর আগে শোনা গিয়েছিল পুজোর আগেই রাজ্যে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও তাঁর সফর চূড়ান্ত হয় নি। তাঁর বদলে রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বিজেপি কেন উত্তরবঙ্গকে এত গুরুত্ব দিচ্ছে? সূত্রের খবর, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে সবক’টা আসনে হারের মুখ দেখতে হয়েছে শাসক দল তৃণমূলকে। হেভিওয়েট প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপেক্ষের সুরে বলেছিলেন উত্তরবঙ্গের জন্য এত কাজ করি, তা সত্ত্বেও ফল পাই না। স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবির তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যকে কাজে লাগাতে চাইছে নির্বাচনে। তবে দেশের তথা রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি রাজনৈতিক চিত্র খানিকটা হলেও বদলে দিয়েছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের হাতে কাজ নেই। টাকা নেই। চাকরি হারিয়ে বহু মানুষ। বিশেষ প্রবাসী শ্রমিকেরা। এমনকি কেন্দ্রে বিজেপি সরকার একমাত্র জনধন যোজনায় মহিলাদের একাউন্টে ৫০০ টাকা ছাড়া আর কোনো সুযোগ সুবিধা দেয় নি দেশবাসীকে। এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে।
সেদিক থেকে দেখতে গেলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই করোনা আবহের মধ্যে একের পর এক আর্থিক অনুদানের সুবিধা দিয়েছেন ভাতার মাধ্যমে। চালু করেছেন জয় বাংলা প্রকল্প। হকারদের জন্যও পুজোতে এককালীন দু’হাজার টাকা ভাতাও দিচ্ছে রাজ্য সরকার। খাদ্য সাথীর আওতায় বিনামূল্যে রেশনে খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও দিন কয়েক আগে চালু করা পুরোহিত ভাতা তো রয়েছেই। সবমিলিয়ে ভাতা কিংবা ক্লাবগুলিকে আর্থিক অনুদান প্রদান নিয়ে হাজারো বিরোধীতা ও বিতর্ক থাকলেও রাজনৈতিক মহলের মতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের থেকে এক্ষেত্রে রাজ্যে কয়েকধাপ এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল সরকার। স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয়টি বুঝতে পেরেই হয়ত বিরোধীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভাতা ও অনুদান প্রদান নিয়ে সরব হয়েছে৷ তবে আগামীদিনে বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে টেক্কা দিতে বিজেপির রণকৌশল কী হয় এখন সেটাই দেখার।