আরসিটিভি সংবাদ : ট্যাপকল আছে, কিন্তু তা থেকে জল পড়েনা। নেই নিকাশি নালার ব্যাস্থা। পাকা রাস্তা তো দুরের কথা, বর্ষায় কাদা মারিয়ে যাতায়াত করতে হয় গ্রামের আট থেকে আশি সকল মানুষকে। জলপাইগুড়ি জেলা খড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের পুরাতন পান্ডাপাড়র এলাকার বটতলা থেকে পরেশ মিত্র কলোনীর প্রায় ৭০০ মিটার রাস্তার অবস্থা বেহাল।
আরও পড়ুন – খেলার মাঠে বসছে মদ জুয়ার আসর !
অথচ ওই এলাকায় ৫০০ টির বেশী পরিবার বসবাস করে। ভোটার সংখ্যা প্রায় ৮৫২ জনের মতো। কিন্তু রাস্তা পাকা করার কোনও উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। বিগত পাঁচ বছরে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কোনও কাজই করেনি বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দা বাসন্তী বর্মন জানিয়েছেন, গত নির্বাচনের আগে বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য কথা দিয়েছিলেন নির্বাচনে জয়ী হলে রাস্তা পানীয় জল, নিকাশি নালা সহ সমস্ত পরিষেবার ব্যবস্থা করে দেবেন। কিন্তু গত ৫ বছরে তিনি শুধু প্রতিশ্রুতিই দিয়েছেন কাজের কাজ কিছুই করেননি। এই রাস্তায় দুটি ট্যাপকল এবং একটি টিউবওয়েল আছে। কিন্তু কোনও কল থেকেই জল পাওয়া যায়না। একটি রাস্তাও পাকা করা হয়নি। মাটির রাস্তায় বড় বড় গর্ত। এমনকি নিকাশি নালা পর্যন্ত নেই। বহুবার গ্রামপঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। তার পরেও কিছু হয়নি।
আরও পড়ুন – রায়গঞ্জে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু !
অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা শুভঙ্কর শর্মা বলেন পানীয় জলের অভাব মেটাতে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে পুরসভার সরবরাহ জল নিতে যেতে হয়। কাঁচারাস্তা বর্ষায় জল জমে থেকে কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। হাঁটাচলা করাই দায় হয়ে পড়ে। বহুবার গ্রামপঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দেবার পরেও কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন –উদ্বোধন হলেও কাজ শুরু হয়নি কোচবিহারের তাঁত মেখলা হাবের !
এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য সীতারাম মাহাতো জানিয়েছেন, দুবছর করোনার কারনে সেভাবে কাজ হয়নি। তবে এলাকায় প্রচুর পাকা রাস্তা করা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা জায়গা দখল করে রাখায় নিকাশি নালা করা যায়নি। আর পানীয় জলের যেহেতু একটাই রিজার্ভার রয়েছে সেকারনে এই এলাকায় জল আসতে আসতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।