
নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির জেরে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হচ্ছে ভুয়ো শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের। আর এই পরিস্থিতিতে সামাজিকভাবে অমর্যাদার সন্মুখীন বৈধভাবে নিয়োগ হওয়া শিক্ষকেরা। সাধারণত চাকুরী মেলার পরই শুরু হয় বিবাহিত জীবন। প্রয়োজন পড়ে গৃহনির্মাণ ও অন্যান্য প্রয়োজনে আর্থিক ঋণের। তবে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে খুব একটা সমস্যা হয় না চাকরিজীবীদের।
আরও পড়ুন আবর্জনা সাফাই নিয়ে বচসা ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের
কিন্তু ভুড়ি ভুড়ি নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসার পর স্কুল শিক্ষকদের চটজলদি ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বেঁকে বসেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক গুলি। সাধারণত ব্যাংক গুলি বুঝে নিতে চাইছে, যিনি ঋণ নিচ্ছেন সেই শিক্ষকের চাকরি আইনত বৈধ কিনা। শিক্ষকের নিয়োগ কতদিন আগে হয়েছে ও কিভাবে হয়েছে সেবিষয়ে খুটিনাটি তথ্য জানতে চাইছে ব্যাংক। দক্ষিণ দিনাজপুর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সিইও তনুজ কুমার সরকার জানান, ব্যাংক ব্যবসা করতে এসেছে। ফলে ঋণদানের ক্ষেত্রে সমস্ত কিছু দেখে নিতে হয়। যাতে তা পরিশোধ হতে পারে। বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতির জেরে ঋণদানে আগের থেকে সতর্ক থাকতে হচ্ছে তাদের৷
আরও পড়ুন তৃণমূল নেতার বাড়ির পিছন থেকে মিললো তাজা বোমা, চাঞ্চল্য মালদার চাঁচলে
ঠিক এভাবেই বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে বৈধ নিয়োগের শিক্ষকদের। যা তাদের কাছে অমর্যাদার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাম শিক্ষক সংগঠন নেতা শঙ্কর ঘোষ জানান, শিক্ষকদের হয়রানি না বন্ধ করে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে ব্যাংক গুলিকে। আর যারা জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছে, তাদের দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে দাবি করেন তিনি৷তৃণমূল শিক্ষা সেলের সদস্য তথা তৃণমূল নেতা শিক্ষক বিপুল কান্তি ঘোষ জানান, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সাধারণত ঋণ দেওয়ার দেওয়ার ক্ষেত্রে সিকিউরিটি বা কাগজপত্র যাচাই করে। ঋণের বিষয়টি ব্যাংকের নিজস্ব ব্যাপার।
আরও পড়ুন জল সংকটের দাবি তুলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ
এদিকে অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষক মহাসঙ্ঘের সদস্য শুভেন্দু বক্সী জানান, নিয়োগ দুর্নীতিতে যাদের নাম জড়িত, তাদের তো চাকরি যাচ্ছেই, কিন্তু যারা বৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন এই ঘটনায় তাদেরও প্রশ্ন চিহ্নের সামনে পড়তে হয়েছে। বৈধ শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে সামাজিক হয়রানি হতে হচ্ছে। যা সমাজে অপমানজনক ব্যাপার।নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসার আগে ঋণ পেতে হয়রানির মধ্যে পড়তে হত না শিক্ষকদের। এখন সেই ঋণ জোটাতে কার্যত জুতো ক্ষয় করতে হচ্ছে তাদের।
