নিউজ ডেস্ক, ২৮ আগস্ট : আফগানিস্তানে তালিবান-উত্থানে উল্লসিত হয়ে চেন্নাইয়ে নাশকতা ঘটানোর চেষ্টায় ছিল কয়েকজন বাংলাদেশি যুবক। সেই দলেরই মূল চক্রী ধরা পড়ল উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে। এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এএনআই, পুলিশ ও বিএসএফ সূত্রে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাহাঙ্গির বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করে বসিরহাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় তারা। জাহাঙ্গিরকে জেরা করতে শুক্রবারেই বসিরহাটে পৌঁছায় এনআইএ-র বিশেষ তিনজনের একটি তদন্তকারীর একটি দল। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জেরায় জানা গিয়েছে, বছর আঠাশের জাহাঙ্গিরের বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার নলড়া গ্রামে। প্রায় ৮ বছর আগে চোরাপথে ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকেছিল সে। চেন্নাইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। তদন্তকারীদের দাবি, তালিবান বাহিনী আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পরে উৎসাহিত হয়ে পড়ে জাহাঙ্গির ও তার জনা দশেক সঙ্গী। এ দেশে কর্মরত আরও কিছু বাংলাদেশি যুবককে নাশকতামূলক কাজের জন্য উৎসাহিত করতে থাকে তারা।এমনকি তাদের রীতিমতো মগজধোলাই করা হয়। তালিবান বাহিনীর প্রশংসা করে তারা মোবাইলে মেসেজও আদানপ্রদান করত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় নড়েচড়ে বসে চেন্নাইয়ের গোয়েন্দা বিভাগ। নড়েচড়ে বসে পুলিশও। শুরু হয় ধরপাকড়। দু’জন ধরা পড়ে। বাকিরা কলকাতা হয়ে বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টায় আছে বলে জানতে পারেন গোয়েন্দা কর্তারা। কয়েকজন বাংলাদেশির ছবি দেশের সীমান্তবর্তী থানা এবং বিএসএফের কাছে পাঠানো হয়ে বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর। এর পরেই ধরা পড়ে জাহাঙ্গির। খবর পেয়ে চেন্নাই পুলিশ যোগাযোগ করে বসিরহাট পুলিশের সঙ্গে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে খবর, চেন্নাই পুলিশের একটি দল আসছে বসিরহাটে।