নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ০৬ নভেম্বর : কোভিড পরিস্থিতিতে এবছর সবরকমের বাজীর উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে আদালত। স্বাভাবিক ভাবেই এবছর কালীপুজো বা দীপাবলীতে শব্দদৈত্যের দাপাদাপি কম হবে বলে আশাবাদী সাধারন মানুষ। বাজীর ব্যবহার বন্ধ হলে কোভিড পরিস্থিতিতে সাধারন মানুষ সুরক্ষিত থাকতে পারবে বলে মত প্রকাশ করেছে চিকিৎসক মহল। অন্যদিকে সামগ্রীক পরিস্থিতি বিচার করে এবছর বাজীবাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রায়গঞ্জ পুরসভা।
উল্লেখ্য প্রতিবছর কালীপূজা ও দীপাবলীতে সরকারী নির্দেশ উপেক্ষা করেই চলতে থাকে নিষিদ্ধ শব্দবাজীর দাপাদাপি। এবছর করোনা আবহে পরিস্থিতি আরো বিপজ্জনক আকার নিয়েছে। প্রায় আটমাস পেরিয়ে গেলেও করোনা সংক্রমণের হানাদারি অব্যাহত। করোনা আক্রান্ত হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে জেলাতে। এই পরিস্থিতিতে সবধরনের বাজীর উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে আদালত। আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসক মহল। রায়গঞ্জের বিশিষ্ট চিকিৎসক জয়ন্ত ভট্টাচার্য বলেন,শীতকালে এমনিতেই বাতাসের ঘনত্ব বেশী থাকে,তাতে বস্তুকনার মাত্রাও বেশী হয়। এরসঙ্গে বাজীর অসম্পূর্ণ দহনের ফলে যে মিথেন,সালফার, কার্বন মনোক্সাইডের মতো ক্ষতিকারক গ্যাস নির্গত হয় তাও বাতাসে মেশে,যা ফুসফুস ও হার্টের মারাত্বক ক্ষতি করে। করোনা সংক্রমন কালে বাজীর দাপাদাপি বন্ধ না হলে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে প্রানঘাতী হতে পারে।
প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারন মানুষকেও এবিষয়ে সচেতন হতে হবে। ” অন্যদিকে রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন,” প্রতিবছর পুরসভার পক্ষ থেকে রায়গঞ্জে বাজীবাজার করা হতো। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে এবছর বাজীবাজার বন্ধ রাখা হয়েছে। সামগ্রীক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পুলিশ, প্রশাসন ও ব্যাবসায়ীদের নিয়ে জরুরী বৈঠকে বসবো আমরা। অন্যদিকে রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বাজীর ব্যবহার রুখতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রচুর পরিমানে নিষিদ্ধ বাজী। এইঘটনায় তিনব্যাবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে কালীপুজো পর্যন্ত রায়গঞ্জের বিভিন্ন বাজারে এবিষয়ে পুলিশ অভিযান চালাবে।