নিউজ ডেস্ক, ১৮ অক্টোবর : উৎসবের দিন গুলিতে করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধির আশঙ্কার মাঝেই প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গোটা দেশজুড়ে করোনার সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় স্বাভাবিকভাবে কপালে চিন্তার ভাঁজ সরকার এবং চিকিৎসক মহলের। সাধারণ মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং সচেতনতা অবলম্বন না করলে করোনা সংক্রমণ জটিল জায়গায় চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
টানা লকডাউনের জেরে করোনার সংক্রমণের গতি কিছুটা শ্লথ হলেও উৎসবের মুহূর্ত শুরু হতেই ফের হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। শুধু এরাজ্য নয়, গোটা দেশজুড়েই একই পরিস্থিতি। করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণে কোভিড হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বেড থাকবে কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে৷ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সংক্রমণ রোধে উৎসবের দিনগুলিতে বাইরে বের হলে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি মুখে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি বেশি ভিড়ভাট্টায় না যাওয়া এবং পুজোর কেনাকাটা বা উৎসবের দিনগুলিতে প্যান্ডেলের ভিতর ভিড় না করার নির্দেশ অবশ্যই মানতে হবে সাধারণ মানুষকে৷ এর অন্যথা হলে করোনা সংক্রমণ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তাতে চোখ কপালে উঠার জোগাড়। গোটা দেশজুড়ে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৬১ হাজার ৮৭১ জন। পাশাপাশি ১ হাজার ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বর্তমানে গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৫৫২৷ পাশাপাশি সুস্থ হয়েছেন ৬৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ২১০ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৩১। করোনা বৃদ্ধির এই গ্রাফ বলে দিচ্ছে উৎসবের দিন গুলোতে মানুষ সচেতন না হলে সংক্রমণের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এবং সেই পরিস্থিতিতে কোভিড হাসপাতালগুলিতে বেড বা জায়গা পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্ধিহান বিশেষজ্ঞরা। তাই আগামী একমাস অন্তত সাধারণ মানুষকে সচেতন হয়ে বাইরে পা ফেলতে হবে।