নিউজ ডেস্ক, রায়গঞ্জ,৩ সেপ্টেম্বরঃ বিয়ের মরসুম ও অন্যান্য অনুষ্ঠানেও সোনার চাহিদা দ্বিগুণ বেড়ে যায়৷ মেয়ের বিয়ে হলে তো কথাই নেই৷ আপনাকে সোনা কিনতেই হবে৷ কিন্তু যে সোনা আপনি কিনছেন সেটা আ’সল তো? সোনা কেনা বা গয়না বানাতে গিয়ে স্বর্ণকারদের ফাঁদে পড়ে অনেকেই ঠকে যান। কোনটি আসল আর নকল সোনা ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করেই সোনা যাচাই করে নেওয়া যায়৷ আসুন জেনে নিই কি সেই পন্থা?
গয়না তৈরির জন্য ২২ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে ৯১.৬৬ শতাংশ থাকে সোনা। তার মধ্যে যদি সোনায় লোহা জাতীয় ধাতু মেশানো থাকে, তবে সেটির কাছে চুম্বক ধরলেই তা টেনে নেবে। এছাড়াও বাজারে কিছু রাসায়নিক এবং অ্যাসিড আছে যেগুলো ব্যবহার করে সোনার গুণগত মান যাচাই করা সম্ভব। ওই রাসায়নিক বা অ্যাসিড খাঁটি সোনার সংস্পর্শে এলেও কোনও রকম বিক্রিয়া হয় না।
কিন্তু সোনা যদি বিশুদ্ধ না হয় তাহলে বিক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। এর পাশাপাশি ভিনেগার দিয়েও সোনা পরীক্ষা করা সম্ভব। যদি গ্লাস বা কোনো পাত্রের মধ্যে কিছু পরিমাণ হোয়াইট ভিনেগারে গয়না ১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখেন তাহলে খাঁটি সোনা হলে সেটা আগের মতই চকচক করবে। আর নকল হলে সেই গয়না তার উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলবে। আরও একটি উপায় হল সাদা চীনেমাটির একটা প্লেটে সোনার গয়না ঘষে সোনা যাচাই করা যায়৷ যদি থালার উপর কালো দাগ পড়ে তা হলে সেই গয়না নকল সোনা দিয়ে তৈরি।