নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ২৩ অক্টোবর : লক্ষ গিনেস বুকে নাম তোলা,আর সেজন্যই তিন মিলিমিটারের দুর্গা ও দুই মিলিমিটারের লক্ষী,গনেশ, কার্তিক, সরস্বতীর মূর্তি তৈরী করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে রায়গঞ্জ শহরের বীরনগরের বাসিন্দা মানস রায়। প্রায় দুমাসের প্রচেষ্টায় মাটি, খড় ও আঠা দিয়ে মানসবাবু এই অসাধ্য সাধন করে ফেলেছেন। অপরীসীম ধৈর্য্য আর সৃজনশীল মন নিয়ে তিন মিলিমিটার মাপের দুর্গা বানিয়ে ফেলেছেন তিনি।
মানসবাবু পেশায় একজন চশমা বিক্রেতা। করনদিঘীতে রয়েছে নিজস্ব দোকান। পেশাগত কাজ সামলে ক্ষুদ্রতম বস্তু দিয়ে রকমারী জিনিস তৈরী করাটাই মানসবাবুর নেশা। আর এই নেশার বশেই তিনি চাল দিয়ে তৈরি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল, নেতাজি সুভাষ, গৌতম বুদ্ধর মতো মনীষী দের মূর্তি। আগের বার দীর্ঘ কয়েকমাসের চেষ্টায় মাটি খড় ও আঠা দিয়ে দুর্গামূর্তি বানিয়ে যপ্রায় এক এবছর ধরে নিজের চেষ্টায় প্রথম খর, মাটি ও আঠা দিয়ে তৈরি করেছিলেন ছয় মিলিমিটার দেবী দূর্গার মুর্তি। লক্ষ্মী, সরস্বতী,গনেশ ও কার্তিকের সাইজ ছিল পাঁচ মিলি মিটার। এবারে তৈরি করেছেন তিন মিলিমিটার সাইজের দুর্গা। মানসবাবু জানান,গত বছর ছয় মিলিমিটার মূর্তি তৈরি করে গ্রিনিস বুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তারা প্রমান সহকারে তথ্য পাঠাতে বলেন। কিন্তু লকডাউনের কারনে তথ্য পাঠাতে পারিনি। আনলকে সব অফিস খোলার পর আমাকে পাঠাতে বলেছে।তাই ভেবেছি এবারে তিন মিলিমিটার প্রতিমা তৈরি করে পাঠাবো। আশা করছি এবারে গিনেস বুকে নাম তুলতে পারবো। ” তবে মানসবাবু এখানেই থেমে থাকতে চান না। আগামীদিনে পাঁচ হাজার বর্গমিটারের ছবি আঁকার ইচ্ছে রয়েছে তার। প্রকৃতির নানান আঙ্গিক ধরা পড়বে এই ছবিতে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড়মাপের পেন্টিং তৈরীর জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছেন তিনি। মানসবাবুর এই কাজে খুশী তার পরিবাবের সদস্যরাও। মানসবাবুর মেয়ে সৌমি রায় বলেন,” বাবার জন্য গর্ব অনুভব করি। সময় পেলেই বাবার কাজে সাহা্য্য করি। গিনেস বুকে নাম তোলার বাবার স্বপ্নপূরণ হোক এখন এটাই একমাত্র প্রার্থনা।