নিউজ ডেস্ক,২১ইজানুয়ারিঃ ১৮৮৮-৮৯ সাল, ব্রিটিশ আমলে পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানী বিহার ও উত্তরবঙ্গ প্রদেশের মধ্যে মিটারগেজ রেলপথ চালু করে।সেসময় যা ছিল পূর্বাঞ্চল শাখার নিয়ন্ত্রনে। সূচনা হয়েছিল কাটিহার ও পার্বতিপুর মিটারগেজ রেলপথের।তথ্য অনুসারে ১৮৮৮ সালের ১৫ই ডিসেম্বর মিটারগেজ রেলপথ যাত্রার সূচনা হয় রায়গঞ্জ-দিনাজপুরে ও১৮৮৯ সলের ১ লা জুলাই কাটিহার-রায়গঞ্জে ওরায়গঞ্জ পার্বতিপুরে সূচনা হয় ১৮৯৬ সালে। ইতিহাসের পাতা ঘাটলে জানা যায়, হলদিবাড়ি, রাধিকাপুর ও সিংহবাদ এই রেলপথটি ছিল আসাম রেল লিঙ্ক প্রজেক্টের অধীন।যে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল ২৪ ডিসেম্বর ১৯৪৯ সালে।সেসময় সমগ্র এলাকাটি ছিল পূর্ব পাকিস্তানের অর্ন্তভূক্ত।কিন্তু স্বাধীনত্বর ভারত বিভুক্তির পর বারসই-রাধিকাপুর রেলপথটি একটি শাখা রেলপথে পরিনত হয়।যা ভারতে অর্ন্তভূক্ত হয় আর পার্বতীপুর যা আজ বাংলাদেশের অর্ন্তভূক্ত।স্বাধীন ভারতে ১৯৬০ সালে ফারক্কা সেতু তৈরীর কাজ শুরু হতেই ব্যাপক পরিবর্তন হয় রেল মানচিত্রে।তৈরী হয় কলকাতা যাতায়াতে ব্রডগেজ রেলপথ।কাটিহার-রাধিকাপুর রেলপথটি বর্তমানে নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ারের অধীন। এই রেলপথ কাটিহার ডিভিশনের অর্ন্তভূক্ত।যে কাটিহার ডিভিশন তৈরী হয় ১৯৬৯ সালের মে মাসে।আর বারসই-রাধিকাপুর মিটারগেজ রেলপথ ব্রডগেজে পরিবর্তিত হয় ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০০৬ সালে। এরপরই খুলে যায় রেল যোগাযোগের নতুন মাধ্যম।তৎকালিন সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির উদ্যোগে চালু হয় দিল্লিগামী ট্রেন।বাড়তে থাকে জনসংখ্যা, বাড়তে থাকে চাহিদা।কিন্তু রেল যোগাযোগে অবহেলিত রয়ে যায় রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ,রাধিকাপুর এলাকা।প্রতিবছর হয় রেল বাজেট কিন্তু বাজেটে বরাবর অবহেলিত রয়ে যায় এই রুট। যদিও সম্প্রতি বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ইঞ্জিনের পরিবর্তন। রায়গঞ্জ শহরে ফ্লাইওভার নির্মান ঘিরে চাপানউতোরের মাঝেই নয়া উদ্যোগ রেলের। একটা সময় কয়লার ইঞ্জিনে চলত কু ঝিঁকঝিঁক ট্রেন, তারপর এল ডিজেল চালিত ইঞ্জিন আাধুনিকতার সাথে পাল্লা দিয়ে এরপরে এল বিদ্যৎ চালিত ইঞ্জিন। রায়গঞ্জ স্টেশন ও সংলগ্ন লাইনে শুরু হল সেই বিদ্যুতায়নের কাজ৷ জোড়কদমে এই প্রক্রিয়া চলছে। গত বেশকিছুূিন আগেই রেলের ডি আর এম সহ একাধিক পদস্থ কর্তা রায়গঞ্জ স্টেশন পরিদর্শনে এসেছিলেন। সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন তারা। একদিকে যেমন স্থায়ী রেকপয়েন্ট নির্মানের কাজ চলছে তেমনই অন্যদিকে চলছে দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্মে শেড নির্মানের কাজ। এবারে তাতে নয়া সংযোজন বিদ্যুতায়ন ব্যবস্থা। রায়গঞ্জ স্টেশন ম্যানেজার রাজু কুমার বলেন, বারসই থেকে ভায়া রায়গঞ্জ রাধিকাপুর পর্যন্ত বৈদ্যুতিক ট্রেন পরিষেবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার জন্য দ্রুত গতিতে চলছে কাজ। এর জেরে যাত্রী পরিষেবায় অনেক সুবিধে হবে। একদিকে যেমন লোকাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে তেমনই অন্যদিকে বৈদ্যুতিক ট্রেনে খুব কম সময়ে গন্তব্যে পৌছনো সম্ভব হবে বলে জানান স্টেশন ম্যানেজার।
আপনার পছন্দের সংবাদ
-
4 years ago
তৃণমূল – কংগ্রেসের সংঘর্ষে উত্তেজনা চোপড়ায়